দেশে যে গ্যাস রয়েছে, তা দিয়ে চাহিদা পূরণ হচ্ছে না
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে যে গ্যাস রয়েছে তা দিয়ে চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। তাই ব্যাপক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এলএনজি আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিলাম। এরজন্য ৩০ হাজার কোটি অতিরিক্ত টাকার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। আর এই পুরো টাকাই ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরাট অঙ্কের ভর্তুকি দিয়ে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ করে যাচ্ছি। গ্যাসের আমদানি খরচ যেটা সেটা তো বিবেচনায় নিতে হবে। অথচ যারা আন্দোলন করছেন তারা প্রকৃত অবস্থা চিন্তা করছেন না, এটা দুঃখজনক।
তিনি বলেন, গ্যাসের দাম নিয়ে আন্দোলন যথেষ্ঠ হয়েছে। অনেক প্রতিবাদ হয়েছে। গ্যাসের চাহিদা মেটাতে গ্যাস আমদানি করতে হচ্ছে। তাই এলএনজি আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, শিল্পায়নের সঙ্গে সেঙ্গে গ্যাসের চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু সেই পরিমাণ গ্যাস আমাদের দেশে নেই। আমরা কূপ খনন করছি। গ্যাসের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। যেটুকু গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে সেটুকু উত্তোলন করা হচ্ছে। সমুদ্রে গ্যাস উত্তলনের জন্য এরইমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এলএনজি আমদানি খুব ব্যয়সাপেক্ষ। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন মূল্যায়ন দেখেছে বর্ধিত ব্যয় নির্বাহের জন্য কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল। সেখানে আমরা কতটুক দাম বাড়িয়েছি। গ্রাহকদের আর্থিক চাপ বিবেচনা করে কমিশন মাত্র ৩২.৮ শতাংশ দাম বাড়িয়েছে।
ভোক্তা পর্যায়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্যহার বর্তমানে প্রতি ঘনমিটার ৯.৮০ টাকা। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প গ্রাহকদের জন্য কোনো দাম বাড়ানো হয়নি। গণপরিবহনের বিষয়টি বিবেচনায় করে সিএনজিখাতে শুধু প্রতি ঘনমিটারে ৩ টাকা বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণীর গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে এখন থেকে মিনিমাম চার্জ প্রত্যাহার করা হয়েছে।