গণমাধ্যমকর্মী জাহাঙ্গীরের মৃত্যুতে চবি সাংবাদিকতা বিভাগ ও চবিসাসের শোক
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০১৯, ০৮:১১ PM , আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৯, ০৮:১৬ PM
বিশিষ্ট সাংবাদিক, গবেষক, সমসাময়িক বিশ্লেষক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ পরিবার। এছাড়া একই সাথে গভীর শোক জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)। বুধবার দুপুরে দুটি পৃথক শোক বার্তায় এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ এক শোক বার্তায় বলেন, এই সংবাদ আমাদের শোকাতুর করেছে। দেশের গণমাধ্যম শিক্ষা এবং সাংবাদিকতার বিকাশে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার মৃত্যুতে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা ক্ষেত্রে যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল তা পূরণ হওয়ার নয়। আমরা যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা পরিবার গভীরভাবে শোকাহত।
বিভাগের অধ্যাপক ড. সহিদ উল্যাহ (লিপন) বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিকতা ও উন্নয়ন যোগাযোগের বিদ্যায়তনিক প্রসারে প্রয়াত মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর একজন পাইওনিয়ার। বিশেষ করে, মিডিয়া সবাইকে নিয়ে আলোচনা করে, সেই মিডিয়া নিয়েও যে প্রচুর আলোচনা হতে পারে এবং তা সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া যায়, সেটা তিনি প্রমাণ করেছেন। বাংলাদেশের গণমাধ্যম সঙ্গত কারণেই উনার অভাববোধ করবে।
বিভাগের আরেক অধ্যাপক আলী আজগর চৌধুরী বলেন, প্রয়াত মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর রাজনৈতিক মতাদর্শের উপরে উঠে বাংলাদেশে সাংবাদিকতার চর্চার ক্ষেত্রে অনুকরণীয় এবং দৃষ্টান্ত। দেশে সাংবাদিকতার শিক্ষা প্রসারে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয়।
অন্যদিকে এক শোক বার্তায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল ও সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের চৌধুরী বলেন, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর দেশের সাংবাদিকতা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতেন। তাঁর মৃত্যুতে সাংবাদিকতা জগত একজন অভিভাবককে হারিয়েছে। তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। বাংলাদেশ টেলিভিশনের আলোচনাধর্মী অনুষ্ঠান অভিমত- যেটিকে বাংলাদেশের টেলিভিশন অনুষ্ঠানের মধ্যে প্রথম টক-শো জাতীয় অনুষ্ঠান হিসেবে মনে করা হয় - এর সঞ্চালক ছিলেন মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর। প্রয়াত জাহাঙ্গীর ২৫টি বইয়ের রচয়িতা। যার বেশিরভাগই সাংবাদিকতা নির্ভর। তিনি ছিলেন সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট কমিনিউকেশনের নির্বাহী পরিচালক। সাংবাদিকতার পাশাপাশি দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিষয়ের শিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।