প্রধান শিক্ষক ও লাইব্রেরিয়ানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলায় কালিখা উচ্চ বিদ্যালয়টি বেশ সুনামের সাথে পাঠদান দিয়ে আসছিল। সম্প্রতি এ বিদ্যালয়ের বর্তমান লাইব্রেরিয়ান ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
স্কুলের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল হালিমের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছরে প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে ওই বিদ্যালয়ের পুরাতন চারতালা ফাউন্ডেশন ভবনের ১ম তালার অসম্পূর্ণ ছাদ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সেই মোতাবেক ছাদ নির্মাণের কাজটি সম্পন্ন করার জন্য দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও লাইব্রেরিয়ান পরস্পর যোগসাজশে ওই কাজের ঠিকাদারের মাধ্যমে ছাদ নির্মাণের কাজ না করে স্থানীয় রাজমিস্ত্রির মাধ্যমে অল্প খরচে অপরিকল্পিত ভাবে বিদ্যালয়ের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করে। যার ফলে বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝুঁকিতে রয়েছে।
অপরিকল্পিত ভাবে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করায় যে কোন সময় তা ধসে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও লাইব্রেরিয়ান (রবিকুল ইসলাম বাদল) নিম্ন মানের কাজ দেখিয়ে ওই ভবনের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ করছে এলাকাবাসী।
এর মাঝেই প্রতিমন্ত্রীর অনুদানে ওই বিদ্যালয়ের নামে নতুন আরেকটি ভবনের বরাদ্দ অনুমোদন হয়। ওই ভবনটি বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে খালি জায়গায় নির্মাণের জন্য পূর্বের ম্যানেজিং কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও লাইব্রেরিয়ান রবিকুল ইসলাম বাদল অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের নিমিত্তে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বাজেটটির অর্থায়নের নির্মিত ভবনের নির্ধারিত স্থানে ভবনটি নির্মাণ না করে বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে অবস্থিত উচ্চ বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হাফ বিল্ডিংয়ের পাশে নিয়ে যায়। যার মাধ্যমে বিদ্যালয়ের প্রধান গেইট এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০০৪ সালে নির্মিত হাফবিডিং ভবন ভেঙে ওই স্থানে বরাদ্দকৃত নতুন ভবন নির্মাণ করে মোটা অংকের টাকা আত্মসাতের পায়তারা করে আসছে।
বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, অভিভাবকবৃন্দ, এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও লাইব্রেরিয়ানের স্বেচ্ছাচারী কার্যকলাপের কারণে যে কোন সময় জনঅসন্তোষ চরম আকার ধারণ করতে পারে। এলাকাবাসী বলছে, বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে তদন্ত পূর্বক প্রধান শিক্ষক ও লাইব্রেরিয়ানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী।
এছাড়াও লাইব্রেরিয়ান রবিকুল ইসলাম বাদলের বিরুদ্ধে একাধিকবার স্কুলের ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ, স্কুলের নিজস্ব গাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। ন