৭ দিন ধরে শুধু মুড়ি খেয়েই বেঁচে আছে শতাধিক এতিম শিশু!
বরিশাল নগরীর পলাশপুরের গুচ্ছ গ্রামে এতিম শিশুরা গত এক সপ্তাহ ধরে মুড়ি খেয়ে জীবন যাপন করছেন। এমন মানবিক ঘটনা ঘটেছে নগরের রহমানিয়া কিরাতুল কুরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায়। এতিম খানার প্রায় শতাধিক শিশু পানি এবং মুড়ি খেয়ে জীবন যাপন করছে।
জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে মাদ্রাসায় চাল-ডাল না থাকায় দুপুরে মুড়ি খেয়ে বেঁচে আছে এতিমরা। অর্থের অভাবে মাদ্রাসার সুপার বাজার করতে পরছেননা। মাদ্রাসার পরিচালক টাকার চিন্তায় হতাশ হয়ে পড়ছেন। এতিমদের চোখে কান্না ঝরছে। এতিম খানার এমন দুর্দশা সম্পর্কে জেনেও তাদের সাহায্যে কেই এগিয়ে আসছেনা।
মাদ্রাসার পরিচালক ফিরোজী কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ১ বছর আগে একটি ভাড়া বাড়িতে ছিল এই এতিমখানা ও মাদ্রাসাটি। সাংসদ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ, সাবেক এমপি তালুকদার মো. ইউনুসসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সশরীরে উক্ত মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন এবং শতাধিক এতিম ছাত্রের বাস্তব অবস্থা অবলোকন করে জেলা পরিষদের মাধ্যমে ১৫ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেন।
তিনি আরও বলেন, কষ্টের পরে একটু মাথা গোজার ঠাই হয়েছে। তবে যে টাকা পেয়েছি তা কাজের পিছনেই শেষ হয়ে গেছে। এখনো কাজ শেষ হয়নি। অর্থের অভাবে খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। ছোট ছোট এতিম শিশুদের দুপুরে ভাতের পরির্বতে খাওয়াতে হচ্ছে মুড়ি। কোন মহান ব্যক্তি মাদ্রাসার এতিম শিশুর খাবার জন্য চাল দান করলে এই সমস্যা দেখতে হতোনা। টাকার জন্য সমাজের বিত্তবানদের দুয়ারে দুয়ারে গেলেও কারো কোন সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছেনা।
এমন অবস্থায় সমাজের বিত্তবানদের এতিমদের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন মাদ্রাসার পরিচালক।