৩০ জুন ২০১৯, ১৩:৪২

সেপ্টেম্বর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ: মোস্তাফা জব্বার

  © ফাইল ফটো

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘এখন থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা খুশি তা করা যাবে না। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরমে গুজবসহ যে কোনো তথ্য নিয়ন্ত্রণের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সরকার। আগামী সেপ্টেম্বরের পরে সরকার এ বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে। শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে আওয়ামী লীগের প্রচার সেল আয়োজিত ‘গৌরবের অভিযাত্রায় ৭০ বছর, তারুণ্যের ভাবনায় আওয়ামী লীগ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা অনেক আগেই অর্জন করেছি, তবে ফেসবুক-ইউটিউবে সুনির্দিষ্ট তথ্য নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা এতদিন ছিল না, যা আমরা অর্জন করেছি। যখন কোনো ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া হয় বা ভিডিও আপলোড করা হয়, তাৎক্ষণিক আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি না। কারণ, ফেসবুক বা ইউটিউব দুটি প্রতিষ্ঠানই মার্কিন প্রতিষ্ঠান, যা আমেরিকান কমিউনিটির স্ট্যান্ডার্ড মেনে কাজ করে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সরাসরি তাদের হস্তক্ষেপ করতে পারি না। আগামী সেপ্টেম্বরের পরে আমরা এই বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা অর্জন করব। এখন থেকে কেউ ইচ্ছা করলেই যা খুশি তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াতে পারবে না।’

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘১০ বছর আগেও সোশ্যাল মিডিয়া নামে কিছু ছিল না। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া কারো চলে না। অনেক খবর আছে, যেগুলো মূলধারার গণমাধ্যমে আসত না, সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে যাচ্ছে। মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে।’

ইন্টারনেটে নাগরিকদের বিচরণ নিরাপদ রাখতে রাষ্ট্রের ভূমিকার ওপর গুরুত্ব দেন মন্ত্রী। তিনি জানান, বিগত নির্বাচনে কেউ গুজব ছড়াতে সক্ষম হয়নি। ইতিমধ্যে ২২ হাজার পর্ন সাইট বন্ধ করেছে সরকার।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখনো কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা রয়ে গেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই গুজব প্রচারে কিছু অনলাইন পোর্টাল ভূমিকা রাখছে। যেগুলো বন্ধ করা একটু দুরূহ হয়ে যায়। অনলাইন পোর্টাল নিবন্ধনের বৈধ তালিকা পেলে কাজগুলো সহজ হবে।’

এসময় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া তথ্যের সমস্যার দিকটি তুলে ধরে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব বিশ্বব্যাপী একটি সমস্যা। কম্বোডিয়ায় গিয়েছিলাম কয়েক দিন আগে, কীভাবে এই গুজব প্রতিরোধ করা যায় তা নিয়ে সেখানে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। আমরা চাই, মানুষের অধিকার অবারিত থাকুক। কিন্তু মানুষের অবারিত অধিকার চর্চা করতে গিয়ে যেন অন্যের অধিকার খর্ব না হয়, কিংবা অন্যের ব্যক্তিস্বাধীনতা খর্ব না হয়, কিংবা রাষ্ট্রে হানাহানি সৃষ্টি না হয়, সমাজে অস্থিরতা না হয়, সেটা আমাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।’