ধান ক্রয়ের জন্য লটারিতে কৃষক বাছাই
সম্প্রতি দেশে উৎপাদিত ধান নিয়ে কৃষকের হাহাকারের চিত্র গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। অনেক কৃষক ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ক্ষেতে আগুন দেয়াসহ মাড়িয়ে পুরো ধান ক্ষেত নষ্ট করার চিত্রও উঠে এসেছে। এসব নিয়ে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে সরাসরি ধান কিনতে কৃষকদের তালিকা প্রণয়নে লটারি করা হয়। লটারিতে প্রায় সাড়ে ৫ হাজারেরও বেশি আগ্রহী কৃষক থেকে ৪৫১ জনকে বাছাই করে চূড়ান্ত তালিকা করেছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সময় ধরে উপজেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ এম মাগফুরুল হাসান অব্বাসীর উপস্থিতিতে তার অফিস কক্ষে এ লটারি অনুষ্ঠিত হয়।
লটারি কর্মসূচীতে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন ও শাহানারা বেগম মীরা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অমূল্য কুমার সরকার, কৃষি দপ্তরের উপ-সহকারী উদ্ভিদ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ মণ্ডল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান সিরাজ, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ কে এম মাহমুদুর রহমান রোজেন ও কৃষক প্রতিনিধি ইকরামুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
লটারির সার্বিক বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অমূল্য কুমার সরকার জানান, এই উপজেলায় ৪৫১ মে. টন ধান সংগ্রহ করা হবে। উপজেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভায় সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১ মে. টন করে ধান কেনা হবে। এ জন্য আবাদকৃত জমির উপর ভিত্তি করে উপজেলার ১০ ইউনিয়ন থেকে সর্বনিম্ন ৩২ জন এবং সর্বোচ্চ ৬৪ জন করে কৃষক নির্বাচন করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদার রহমান জানান, উপজেলায় এবার ৭০ হাজারের মতো কৃষক প্রায় ১৬ হাজারের মতো কৃষক বোরো আবাদ করেছেন। এ জন্য মাইকিং করে সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রির জন্য আগ্রহী কৃষকদের নাম গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়। এতে ৫ হাজার ৬০০ জন কৃষক আগ্রহ প্রকাশ করলে তাদের তালিকা করে শনিবার উপজেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেই তালিকা থেকে লটারি করে ৪৫১ জন কৃষকের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে।