রাজবাড়ীতে সেনা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
রাজবাড়ীর কালুখালীতে শিক্ষা অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে সেনা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কালুখালী রেলওয়ে স্টেশন-সংলগ্ন এলাকায় প্রতিষ্ঠানটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন যশোর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল জে এম ইমদাদুল ইসলাম।
সেনাবাহিনীর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এ সময় অনুষ্ঠানে ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের কমান্ডার আর্টিলারি ব্রিগেড, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেজবাহ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবব্রত সরকার, স্থানীয় ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মীবৃন্দ এবং এলাকার অন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে যশোর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল জে এম ইমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘জাতির ভবিষ্যৎ গঠনে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। দেশব্যাপী সেনাবাহিনী পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ স্থাপনের মাধ্যমে দেশ ও জাতির শিক্ষার মান সার্বিকভাবে উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবদান অব্যাহত থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, সেনা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, রাজবাড়ী শিক্ষায় উৎকর্ষতার একটি প্রতীক হয়ে উঠবে বলে তিনি আশাবাদী এবং এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি এ এলাকার শিক্ষার মান বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে।
তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই মহতী উদ্যোগ বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা ও সমন্বয় বজায় রাখার আহ্বান জানান এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইতিমধ্যে চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির জনবল নিয়োগসহ শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া এবং আগামী বছরের এপ্রিল থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে মাধ্যমিক ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদান অস্থায়ী ভাবে চলবে কালুখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। এ ছাড়া ২০২৭ সাল থেকে শুরু হবে উচ্চ মাধ্যমিক ৯ম থেকে দ্বাদশ শ্রেনীর ভর্তিসহ শিক্ষা কার্যক্রম।
এদিকে সেনা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হওয়া খুশি স্থানীয় এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত একটি মেনুভার অনুশীলন চলাকালীন সময়ে সম্মানিত সেনাবাহিনী প্রধান অত্র এলাকার শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের চাহিদার প্রেক্ষিতে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। তারই ধারাবাহিকতায় জিওসি ও এরিয়া কমান্ডারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সেনাবাহিনীর নিজস্ব অর্থায়নে একটি মানসম্মত স্কুল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়ে হয়েছে বলে সেনাবাহিনীর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।