কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রী কৃষকের শত্রু, দুই মন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২০ মে ২০১৯, ০৭:৪৭ PM , আপডেট: ২০ মে ২০১৯, ০৭:৪৭ PM
ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন দেশের ধান উৎপাদনকারী কৃষক সমাজ। এদিকে সরকারের পক্ষ থেকেও বলে দেওয়া হয়েছে, ধানের দাম বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। দেশে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হওয়ায় ধানের দাম কম। সরকারে পক্ষ থেকে কৃষকদের ন্যায্যমূল্য ব্যবস্থার বিপরীতে এসব উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে কৃষিমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীকে কৃষকের শত্রু আখ্যায়িত করে এ দুই মন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।
সোমবার বিকেল ৪টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে তাদের এ কুশপুত্তলিকা দাহ কর্মসূচী পালন করে সংগঠনটি।
কুশপুত্তলিকা দাহ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন। বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিক রেজা, ঢাবি শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির, ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক সৈকত আরিফ, কেন্দ্রীয় সদস্য মির্জা ফখরুল ইসলামসহ নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কৃষকদেরকে চরম দুরবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়ে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দিচ্ছেন। আজকে কৃষকদের এই বিপর্যয়ের সমস্ত দায় সরকারের। শিল্প মালিকদেরকে সস্তায় শ্রমিক যোগান দেয়ার জন্যই কৃষকের ফসলকে অলাভজনক রাখা হয়।
বক্তারা আরো বলেন, কৃষিকে লাভজনক করা ছাড়া শিল্পভিত্তি দাঁড়াবে না, বেকার সমস্যা সমাধানও সম্ভব হবে না। কৃষির লাভজনক রূপান্তরের মাধ্যমেই বাংলাদেশকে প্রকৃত উন্নতির পথে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। ফলে কৃষি ও কৃষকদের বাঁচাতে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার কোনো বিকল্প নেই।
সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, কৃষিমন্ত্রী কৃষকদের সাথে এবং ষোল কোটি জনগণের সাথে মিথ্যাচার করছেন। তিনি প্রকৃত কৃষক খুঁজে পাচ্ছেন না বলে যে মিথ্যাচার করেছেন তার জন্য তাঁকে জাতির কাছে করজোড়ে ক্ষমা চাইতে হবে। দুর্নীতিবাজ ও দায়িত্বহীন লোকদেরকে নিয়ে মন্ত্রীসভা গঠন করে সরকার দেশকে দুর্নীতি ও দুঃশাসনে সয়লাব করে চলেছে। দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী ও সরকারের দুর্নীতিপরায়ণ নীতির কারণেই কৃষকদের দুর্দশা বাড়ছে।
তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে খোদ কৃষকদের কাছ থেকেই লাভজনক দামে ধান কিনতে হবে। কৃষকের ফসলের ন্যায্য দাম বাস্তবায়নের পথে সকল প্রতিবন্ধকতা ও সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি সৈকত মল্লিক, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মুছা কলিমুল্লাহ প্রমুখ।