২০ মে ২০১৯, ১৪:৪৯

সেই বালিশের দাম নিয়ে হাইকোর্টে শুনানী শুরু

  © টিডিসি ফটো

বালিশের অস্বাভাবিক মূল্য নিয়ে হাইকোর্টে শুনানী চলছে। দুপুর দেড়টার দিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আওতাধীন গ্রিন সিটি প্রকল্পের আসবাবপত্র কেনা ও ফ্লাটে ওঠানোয় অনিয়মের বিষয়ে হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়।

এই মামলার রিটকিারী আইনজীবী হলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন। তিনি যখন বালিশ ও কেটলি ওঠানোর খরচের বিষয়টি আদালতে তুলে ধরছিলেন তখন বিচারপতিরা হাসছিলেন। ব্যারিস্টার সুমন জানান, গ্রিন সিটি প্রকল্পের ফ্ল্যাটের মালামাল কিনতে ও ওঠাতে ২৫ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে, প্রত্যেক ফ্ল্যাটের জন্য খরচ পড়ে ২২ লাখ ৭০ হাজার টাকার মতো। উৎসুক আইনজীবীরা এ মামলার শুনানিতে ভিড় করেন ।

সম্প্রতি আসবাবপত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র ক্রয়ে লাগামছাড়া দুর্নীতির তথ্য ফাঁস হয়। এতে বালিশ কেনা এবং ওঠানোর খরচের বিষয়টি সবার চোখে লাগে।একটি বালিশের পেছনে ব্যয় দেখানো হয় ৬ হাজার ৭১৭ টাকা। এর মধ্যে এর দাম বাবদ ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা আর সেই বালিশ নিচ থেকে ফ্ল্যাটে ওঠাতে খরচ ৭৬০ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। আকাশ সমান দামে এসব আসবাবপত্র কেনার পর তা ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটে তুলতে অস্বাভাবিক হারে অর্থ ব্যয়ের এ ঘটনা ঘটিয়েছেন গণপূর্ত অধিদফতরের পাবনা গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা বলে জানা গেছে।

প্রকল্পটির গাড়ি চালকের বেতন একজন সচিবের বেতনের চেয়েও বেশি ধরা হয়েছে। প্রকল্পটির গাড়ি চালকের বেতন ৭৩ হাজার ৭০৮ টাকা। তবে গাড়িচালকরা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দায়িত্বও পালন করতে পারবেন। এতে আরও ১৮ হাজার টাকা পাবেন গাড়িচালকরা। এতে তাদের বেতন দাঁড়াবে ৯১ হাজার ৭০৮ টাকা। বর্তমানে সচিবের বেতন ৭৮ হাজার টাকা। প্রকল্পটির সর্বনিম্ন বেতন রাঁধুনি বা মালির। প্রকল্প থেকে তিনি বেতন পাবেন ৬৩ হাজার ৭০৮ টাকা। আর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালন করলে অতিরিক্ত পাবেন ১৬ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে তার বেতন পড়বে ৭৯ হাজার ৭০৮ টাকা, যা সচিবের বেতনের চেয়েও বেশি।