স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কেটে দিচ্ছেন ছাত্র ফেডারেশনের নেতারা
রাজশাহীর পবা ও বরিশালের উজিরপুরে স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কেটে দিচ্ছেন ছাত্র ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা। শনিবার সকাল থেকে তারা কৃষকদের জমির ধান কাটা শুরু করেছেন।
জানা গেছে, রাজশাহীর বর্গাচাষী কামরুল ধান চাষ করছে মহাজন মারফত জমি বর্গা নিয়ে পয়সার অভাবে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারেনি সে। আশেপাশের সব জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। শুধু পড়ে আছে কামরুলের জমির পাকা ধান। মজুরি হিসেবে ধানের বিনিময়ে ধান কেটে নেওয়ার চেষ্টা করলেও ধানের দাম কম থাকায় তার প্রস্তাবে কেউ রাজি হয়নি। দিশেহারা হয়ে যায় কামরুল, দিশেহারা অগণিত শহীদুল-বাচ্চু হাওলাদাররা।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন রাজশাহী মহানগর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং পবা উপজেলা শাখার নেতা-কর্মীরা কামরুলের খোঁজ পেয়ে পৌঁছেছে সেই দুর্গম বিন্নিপাল গ্রামে। স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটা শুরু করেছেন ছাত্র ফেডারেশনের এ নেতা-কর্মীরা। ছাত্র ফেডারেশন রাজশাহী মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইয়াসিন আরাফাত, সম্পাদক জিন্নাত আরা ও রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মহাব্বত হোসেন মিলনের নেতৃত্বে রাজশাহীতে ধান কাটা চলছে বলে স্থানী সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে তৃতীয় দিনের মতো বরিশালেও ধান কাটছেন ছাত্র ফেডারেশনের কর্মীরা। উজিরপুর উপজেলার নতুন শিকারপুর গ্রামের আরেক দরিদ্র কৃষক শহিদুল ইসলামের ক্ষেতের ধান কেটে দিচ্ছেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন বরিশাল জেলা শাখার নেতাকর্মীরা। বরিশাল জেলা শাখার আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় সদস্য নবীন আহমেদের নেতৃত্বে বরিশালে ধান কাটা চলছে।
ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ছাত্রসমাজের লক্ষ্য হোক কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের দ্বায় স্বীকার করা। কেননা ছাত্ররা সরকারের টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজে পড়েন। সেই সরকারি কোষাগার গড়ে ওঠে কৃষক-শ্রমিকসহ আমজনতার করের টাকায়। স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটতে আগ্রহী বন্ধুদের অংশগ্রহণ আমাদের কাজের গতি দ্বিগুণ করবে। গ্রামে গিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকের ধান কাটার জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।