১৭ মে ২০১৯, ১৭:০৪

নৌকাডুবির ঘটনায় ৩ পাচারকারী আটক

আটককৃত তিনজন  © টিডিসি ফটো

ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে বাংলাদেশি মৃত্যুর ঘটনায় আদমপাচার চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব। এদের মধ্যে শরীয়তপুরের বাসিন্দা মো. আক্কাস মাতুব্বর, সিলেটের বাসিন্দা এনামুল হক তালুকদার ও মো. আবদুর রাজ্জাক ভূইয়া। তাঁর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়।

শুক্রবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, ভারত, শ্রীলঙ্কা, আরব আমিরাত, জর্ডান, তুরস্ক ও লিবিয়া হয়ে ইউরোপ পাঠা‌তে কমপক্ষে ৩টি রুট ব্যবহার করে পাচারকারীরা। এ কাজে বাংলাদেশের ৬টি এজেন্সি জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে র‌্যাব।

ভুক্তভোগীদের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ধারাবাহিক গোয়েন্দা নজরদারি ও অভিযান চালায় র‌্যাব। এ অভিযানে রাজধানীর আব্দুল্লাপুর, খিলক্ষেত ও বিমানবন্দর এলাকা থেকে ৩ জনকে আটক করে র‌্যাব-১।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ জানান, সাধারণত তাদেরকে বলা হয়, আমরা বড় একটি জাহাজে যাব। সেই জাহাজে করে নামলে তাদের একটা পার্টি আছে, সেটা তাদের রিসিভ করে ওপারে নিয়ে যাবে। ওপারে গিয়ে চাকরি দিয়ে দেবে।

এ ঘটনায় আটককৃতদের জবানবন্দি থেকে জানা যায়, পরিস্থিতি বিবেচনায় কমপক্ষে ৩টি রুট ব্যবহার করে আদম পাচার চক্র। বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে সরাসরি কিংবা সড়কপথে ভারত ও শ্রীলঙ্কা হয়ে ইস্তাম্বুল পাঠানো হয়। এরপর ইস্তাম্বুলে ট্রানজিট নিয়ে লিবিয়ায় বেনগাজী কিংবা ত্রিপোলী হয়ে ইউরোপ পাঠানো হয়। লিবিয়া থেকে সাগরপথে সাধারণত ভূমধ্যসাগরের তিউনেশিয়া উপকূল ব্যবহার করে চক্রটি। কখনো কখনো দুবাই, আম্মান হয়েও লিবিয়া উপকূলে পাঠানো হয় অবৈধভাবে গমনেচ্ছুদের।

র‌্যাব কর্মকর্তা জানালেন, আদম ব্যবসার একটি দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্র গড়ে উঠেছে। এছাড়া, আটককৃত সদস্যদের মধ্যে একজন এজেন্সি মালিক ও দুইজন দালাল রয়েছে বলেও জানায় র‌্যাব।

প্রসঙ্গত, ৯ মে ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীবাহী একটি নৌকা ডুবে ৮৫ থেকে ৯০ জন নিখোঁজ হন। এর মধ্যে ৩৯ জনই ছিল বাংলাদেশি। লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে তিউনিসিয়ার উপকূলের কাছে নৌকাটি ডুবে যায়।