‘ইঞ্জিন ত্রুটিতে’ প্রাইভেট কারে আগুন, নিজের নামে চালাল ছাত্রলীগ
রাজধানীর উত্তরায় একটি হাইয়েস মাইক্রোবাসে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আগুন দেওয়ার দায় স্বীকারের ভুয়া তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৭টা ১৮ মিনিটে উত্তরা জসীম উদ্দিন রোডে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এয়ারপোর্ট থানার তদন্ত কর্মকর্তা শেখ রুফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো ‘ছাত্রলীগ আগুন দিয়েছে’—এই তথ্যটি সম্পূর্ণ ভুয়া। প্রকৃতপক্ষে ঘটনাটি ছিল একটি ইঞ্জিনজনিত দুর্ঘটনা।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-বাসে অগ্নিসংযোগ, নাশকতা দমনে তল্লাশি পুলিশের
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মো. সানোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ স্পেশাল ডিউটি করাকালে বিমানবন্দর থানাধীন জসীম উদ্দিন মোড় থেকে ছাপড়া মসজিদের দিকে যাওয়ার সময় হঠাৎ কালো ধোঁয়া দেখে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তখন গাড়িটিতে আগুন পুরোপুরি ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিস ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হাইয়েস গাড়ির চালক মো. মনির হোসেন জানান, তিনি পার্টেক্স গ্রুপের এজিএম (স্টোর) মো. আনোয়ার সুমনকে পিক করার জন্য মহাখালী থেকে জসীম উদ্দিন মোড়ের দিকে আসছিলেন। এ সময় ইঞ্জিনে ‘মিস ফায়ার’ হলে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মনির বালু দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন এবং পরে গাড়ি থেকে নেমে যান। গাড়িটি পার্টেক্স গ্রুপের মালিকানাধীন গাড়ীটির নম্বর ঢাকা মেট্রো-ট ৫৩-২৯৪২। চালক মনির হোসেনের বয়স ৪৫ বছর।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক জানান, খবর পেয়ে তাদের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ইঞ্জিন ওভারহিটের কারণেই আগুন লাগে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।