বাড্ডা-রামপুরা সড়কে সময় নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ
রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরার প্রগতি সরণিতে আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-১ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় থেকে এই কাজ শুরু হয়।
মেট্রো লাইনের কাজ শুরু হওয়া দিনভর যানবাহনের চাপে থাকা এ সড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হতে পারে। এ রুটের জনসাধারণ ও যানবাহনচালকদের যথেষ্ট সময় হাতে নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড।
ডিএমটিসিএলের তথ্য অনুযায়ী, মেট্রোরেলের কিছু অংশ উপরে এবং কিছু অংশ মাটির নিচ দিয়ে যাবে। পাতাল অংশের মধ্যে রয়েছে বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ ও কমলাপুর। এ রুটের বিদ্যমান সড়কের নিচ দিয়ে পাতাল রেলপথ নির্মাণ করা হবে, যার বেশির ভাগ অংশ মাটির ১০ থেকে ৩০ মিটার নিচ দিয়ে যাবে। সবচেয়ে গভীর অংশ হবে মালিবাগ-রাজারবাগের মধ্যবর্তী এলাকা, যেখানে ট্রেন চলবে ৭০ মিটার নিচ দিয়ে।
এমআরটি লাইন-১ এর মোট দৈর্ঘ্য ১০.২৪১ কিলোমিটার এবং এর নির্মাণ খরচ প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫২,৫৬১ কোটি টাকা, যার সিংহভাগ অর্থাৎ ৩৯,৪৫০ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। দেশের যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে এটিই সবচেয়ে বড় প্রকল্প হিসেবে ধরা হচ্ছে। লাইনটি দুটি অংশে বিভক্ত: বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ‘বিমানবন্দর রুট’ এবং নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো পর্যন্ত ‘পূর্বাচল রুট’।
বিমানবন্দর রুটের দৈর্ঘ্য ১৯.৮৭২ কিলোমিটার, যা দেশের প্রথম পাতাল বা আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোরেল হিসেবে নির্মিত হবে। এই রুটে মোট ১২টি পাতাল স্টেশন থাকবে: বিমানবন্দর, বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩, খিলক্ষেত, যমুনা ফিউচার পার্ক, নতুন বাজার, উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা, হাতিরঝিল পূর্ব, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ ও কমলাপুর।
পূর্বাচল রুটের দৈর্ঘ্য ১১.৩৬৯ কিলোমিটার, যা সম্পূর্ণ উড়াল রেলপথ হবে। এই রুটে মোট ৯টি স্টেশন থাকবে।
ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, চলমান নির্মাণকাজ চলাকালীন বাড্ডা-রামপুরা সড়কে যানজট এড়াতে এবং যাত্রী ও যানবাহনচালকদের নিরাপদ যাত্রার জন্য সময় বেশি নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।