সন্তানের প্রাইভেট ও কোচিংয়েই চলে যায় অভিভাবকের আয়ের ২৯ শতাংশ
সন্তানের প্রাইভেট ও কোচিংয়ের খরচ চালাতে গিয়ে অধিকাংশ অভিভাবকের আয়ের ২৯ শতাংশ ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে শহরের অভিভাবকদের ব্যয় তুলনামূলক বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)-এর এক প্রতিবেদনে এতথ্য উঠে এসেছে।
শিক্ষা খাতে সন্তানদের শিক্ষার পেছনে অভিভাবকদের ব্যয় নিয়ে ২০১৪ সালে একটি জরিপ চালিয়েছিল বিবিএস। এসংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে। এরপর সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে আর কোনো জরিপ হয়নি । বিবিএসের ওই জরিপেও দেখা যায়, শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ ২৯.১৩ শতাংশ ব্যয় হয় প্রাইভেট পড়া ও কোচিংয়ের পেছনে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাইভেট ও কোচিংয়ের পেছনে শহরে ব্যয় হয় ৩২ দশমিক ৮০ শতাংশ। আর মফস্বলে ২৬দশমিক ২০ শতাংশ। এরপর ব্যয় হয় বই-খাতা ও স্টেশনারি সামগ্রীর পেছনে। এ ব্যয়ের হার ১৮দশমিক দুই শতাংশ। শহরে এ ব্যয় ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং মফস্বলে ২২দশমিক ৩১ শতাংশ।
এছাড়া স্কুলে ভর্তি, সেশন চার্জ, রেজিস্ট্রেশন ও পরীক্ষার ফি বাবদ ব্যয় হয় ১৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এরমধ্যে শহরে এ ব্যয় ২১ দশমিক২০ শতাংশ আর গ্রামে ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি বাবদ ব্যয় ৯দশমিক ৬৮ শতাংশ। শহরে এ ব্যয় ১২ দশমিক ছয় শতাংশ আর মফস্বলে সাত দশমিক ৭৯ শতাংশ।
শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ও টিফিনে ব্যয় হয় ১৫দশমিক ৬৮ শতাংশ। এছাড়া ইউনিফর্মে আট দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং অন্যান্য খাতে ব্যয় হয় দুই দশমিক ১৮ শতাংশ অর্থ। এভাবে অভিভাবকদের আয়ের বড় অংশই সন্তানের শিক্ষার পেছনে ব্যয় হয়ে যাচ্ছে।