ভোলার উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, আতঙ্ক
উচ্চশক্তি সম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে জোয়ার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভোলার চরফ্যাশনের উপকূলীয় এলাকা চরপাতিলা ও ঢালচরের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। স্বাভাবিকের চেয়ে দেড় থেকে দুই ফুট উপরে পানি উঠায় পুরো অঞ্চল ঝুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
শুক্রবার ১০টার পর থেকে ক্রমান্বয়ে এসব এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সালাম হাওলাদার জানান, ফণীর প্রভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধিতে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বেশিরভাগ বিস্তীর্ণ জনপদ দেড় থেকে দুই ফুট পানির নিচে চলে গেছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হওয়ায় কখনও কখনও বৃষ্টিপাত ও বাতাস হচ্ছে।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নুরুল আমিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধিতে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচর প্লাবিত হয়েছে। আমরা লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলছি। পাশাপাশি নৌ-পথে অনেক মানুষকে মূল ভূখণ্ডে আশ্রয় নেওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
বন বিভাগের বিট অফিসার সাইপুল ইসলাম জানান, জোয়ারের পানি বৃদ্ধিতে চকুকরী-মুকরী বাঁধের বাইরের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়ে গেছে।
এদিকে সকাল থেকে ভোলায় কয়েকদফা বৃষ্টিপাত হয়েছে। বেলা ২টায় পর্যন্ত একই সঙ্গে কখনও কালো মেঘ কখনও বৃষ্টির সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বাতাস প্রবাহিত হয়েছে। রাত ৮টা (প্রতিবেদন লেখার সময়) পর্যন্ত একই অবস্থা বিরাজ করছে এসব এলাকায়। এতে ভোলার উপকূলীয় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছাড়িয়ে পড়ছে।