ফণীর বিরূপ প্রভাবে কিশোরগঞ্জে নিহত ৪
উচ্চশক্তি সম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে কিশোরগঞ্জের তিন উপজেলায় বজ্রপাতে মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে দিকে বৃষ্টিপাতের সময় মিঠামইন উপজেলায় দুইজন আর পাকুন্দিয়া ও ইটনায় একজন করে মোট চারজন এ বজ্রপাতে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানা গেছে।
বজ্রপাতে নিহতরা হলেন মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের কুড়ারকান্দি গ্রামের এবাদ মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া, বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রামের মো. গোলাপ মিয়ার ছেলে মহিউদ্দিন, পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের কোষাকান্দা গ্রামের আয়েছ আলীর ছেলে আসাদ মিয়া ও ইটনা উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের কাঠুইর গ্রামের রাকেশ দাসের ছেলে রুবেল দাস।
মিঠামইন উপজেলার ওসি মো. জাকির রাব্বানী জানিয়েছেন, কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের কুড়ারকান্দি গ্রামের হাওরে বৃষ্টিপাতের মধ্যে গরু আনতে গিয়ে সুমন মিয়া বজ্রপাতের শিকার হয়। এছাড়া একই সময় উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রামের হাওরের জমিতে বোরো ধান কাটার সময় বজ্রপাত হলে মহিউদ্দিন মারা যান।
এছাড়া আসাদ মিয়া নিজের বাড়ির সামনের জমিতে গরুর জন্য ঘাস কাটার সময় বজ্রপাতের শিকার হয়ে মারা যান।
পাকুন্দিয়া উপজেলা ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আসাদ ঘাস কাটার সময় বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাত হলে আসাদ নিহত হন।
ইটনা উপজেলা ওসি মোহাম্মদ মুর্শেদ জামান জানান, বেল সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের কাঠুইর গ্রামের হাওরে রুবেল ধান কাটা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে আচমকা বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাতে রুবেল আহত হন। তাকে উদ্ধার করে ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।