০২ মে ২০১৯, ২১:১৩

শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে সারারাত শঙ্কাপূর্ণ

  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. সামছুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বাতাসের গতি নিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ বাংলাদেশ অতিক্রম করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, দুর্যোগ পূর্ব প্রস্তুতি স্বরূপ এবং পরবর্তী সকল কার্যক্রম ঠিক করে রেখেছে সরকার। তিনি বলেন, শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে সারারাত অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ সময়। এসময় গুলোতে জনসাধারণ সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য বলা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় পরিচালক এসব তথ্য জানানো হয়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক বলেন, আমরা দেখেছি ঘূর্ণিঝড়টি ৩ মে (শুক্রবার) দুপুর ১২টার দিকে খুলনা অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের বিভিন্ন লেভেলের বাতাসের সংস্পর্শে আসতে শুরু করবে। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ খুলনা অঞ্চল ও বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ঘূর্ণিঝড়ের আওতায় এসে যাচ্ছে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সারারাত বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড়ের আওতায় থাকবে। এ সময়টা আমাদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

ফণির সার্বিক অবস্থা জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক বলেন, সার্বিক অবস্থায় এখনো মহাবিপদ সংকেত দেয়ার উপযুক্ত সময় হয়নি। এটা আমরা কালকের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারি। কালকের অবস্থায় বলে দিবে, ফণীর রূপটা কেমন হবে।

তিনি বলেন, আমরা বিপদ সংকেত দেই ১৮ ঘণ্টা আগে। প্রস্তুতির সুবিধার্থে বিপদ সংকেতটা আমরা আগে দিয়েছি। মহাবিপদের যে ল্যান্ডফল, এর ১০ ঘণ্টা আগে আমরা দিতে পারব। সেই সময়টা এখনও আসেনি। আমরা আজকের রাত ও কালকের সকালটা পর্যবেক্ষণের জন্য রেখেছি।