নিঝুম দ্বীপে চোখ রাঙাচ্ছে ‘ফণী’
- আবদুর রহমান, নোয়াখালী
- প্রকাশ: ০২ মে ২০১৯, ০৭:২৭ PM , আপডেট: ০২ মে ২০১৯, ০৮:২৮ PM
সুপার সাইক্লোনে রূপ নেয়া ঘূর্ণিঝড় ফণীর সম্ভাব্য আঘাতকে সামনে রেখে নোয়াখালীতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংস্থা। এছাড়া, নোয়াখালীর বেশ কয়েকটি অঞ্চলে জরুরি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরধার করা হয়েছে। যার মধ্যে নিঝুম দীপের অতিরিক্ত বাসাতের চাপের সাথে পানির প্রবাহতাকে আশংকাজনক মনে করছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ফণী মোকাবিলায় জেলায় ২৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র, সাড়ে ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক, ছয় হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ২০০ মেট্রিক টন চালসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক যানবাহন ও মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি আবহাওয়ায় অধিদপ্তরে নিয়োজিত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আয়োজিত এক সভায় জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস বলেন, উপকূলীয় চার উপজেলা হাতিয়া, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাটে লাল পতাকা উত্তোলন ও প্রচার মাইক বের করা হয়েছে। হাতিয়ায় সব ধরনের নৌ-চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলে ১০৪টি আশ্রয়কেন্দ্র, ৩২টি মাটির কিল্লা ও সহস্রাধিক স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা আছে বলে জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সেক্রেটারি শিহাব উদ্দিন শাহিন বলেন, আশ্রয়কেন্দ্র ও মাটির কিল্লা প্রস্তুতের পাশাপাশি শুকনা খাবার, সুপেয় পানি ও দুর্যোগকালীন তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে তিন লাখ টাকা হাতে রাখা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ফণী শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বাংলাদেশে আঘাত হানার আশঙ্কায় মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত, কক্সবাজারকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে নোয়াখালী এবং তার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৯০-১১০ কি. মি. বেগে দমকা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার প্রভাবে নোয়াখালীসহ উপকূলীয় জেলা ও নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।