শিক্ষার্থীকে মারধর করে পদ হারালেন বাগছাস নেতা
রংপুরের হারাটি উচ্চবিদ্যালয়ে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে মারধরের অভিযোগে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহম্মদ ইমতির সাংগঠনিক পদ স্থগিত করেছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদ।
একই সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাগছাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার এবং সদস্যসচিব জাহিদ আহসান স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে সংগঠনের আদর্শ ও স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইমতিয়াজ আহম্মদ ইমতির পদ স্থগিত করা হলো। পাশাপাশি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ প্রতিবেদন জমা দেবে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন—সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু তৌহিদ মো. সিয়াম, সিনিয়র সংগঠক নাঈম আবেদীন এবং সদস্য মোহাম্মদ আরশাদ হোসাইন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বড় পরাজয়ে বিদায়ঘণ্টা বাজল শ্রীলঙ্কার
প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর রংপুর মহানগরীর হারাটি উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক ও বাগছাস নেতা ইমতিয়াজ আহম্মদ অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের বেত দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এতে অন্তত ১০ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এক অভিভাবক এ ঘটনায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পরশুরাম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদ বুধবার রাতে ইমতিয়াজের সাংগঠনিক পদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।