অবশেষে মাশরাফির হস্তক্ষেপেই শাস্তি পেল সে চিকিৎসকরা
বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার হস্তক্ষেপেই দায়িত্বে অবহেলা ও অফিসের সময়ে অনুপস্থিত থাকার কারণে নড়াইল সদর হাসপাতালের ৪ চিকিৎসককে শাস্তিস্বরূপ অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি) প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
ওএসডিপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা হলেন- ডা. মো. শওকত আলী, জুনিয়র কনসালটেন্ট, কার্ডিওলজি, সদর হাসপাতাল নড়াইল। ওএসডি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা। ডা. মো. রবিউল আলম, জুনিয়র কনসালটেন্ট, কার্ডিওলজি, সদর হাসপাতাল নড়াইল। ওএসডি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা। ডা. মো. আখতার হোসেন, সিনিয়র কনসালটেন্ট, সার্জারি, সদর হাসপাতাল, নড়াইল। ওএসডি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা। ড. এ এস এম সায়েম, মেডিকেল অফিসার, সদর হাসপাতাল নড়াইল। ওএসডি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা।
এদিকে বদলি বা পদায়নকৃত কর্মকর্তা আদেশ জরুরী ৭ (সাত) কর্মদিবসের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করবেন। অন্যথায় পরবর্তী কর্মস্থল হতে তিনি তাৎক্ষণিক অবমুক্ত হবেন।
নড়াইলে নিজের হাসপাতাল পরিদর্শনের ব্যাপারে সংসদ সদস্য মাশরাফি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের একটি হলো চিকিৎসা। এই সেবার মান নিশ্চিত করতে আমার যা কিছু করার আমি সবই করব। কিছু মানুষের জন্য নিরীহ জনগণ কষ্ট পাবে এটা সহ্য করা হবে না। তাদের অপরাধের জন্য উপযুক্ত শাস্তি পেতে হবে’
প্রসঙ্গত, গত ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ৩ টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত টানা ২ ঘণ্টা নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে ঝটিকা সফর করেন মাশরাফি। এ সময় নারী ও শিশু ওয়ার্ডে রোগীদের সাথে কথা বলে তাদের কাছ থেকে নানা ধরনের সমস্যা শোনেন। ওই সময় পুরো হাসপাতালে মাত্র একজন ডাক্তারের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মাশরাফি। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে টাইগার ক্যাপ্টেন প্রথমে রোগী সেজে ওই চিকিৎসককে ফোন করলে তিনি রোগীকে অর্থাৎ মাশরাফিকে রবিবার হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিতে বলেন। ওই ঘটনার আলোকে অভিযুক্ত সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে।