‘তারুণ্যের প্রথম ভোট, ধানের শীষের জন্য হোক’
বিভেদ-প্রতিহিংসার রাজনীতি আর নয়, দেশের জনগণ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে গুণগত রাজনীতি দেখ চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রবিবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ‘ছাত্র সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, গত দেড় দশকে ১৩ কোটি ভোটারের মধ্যে প্রায় ৪ কোটি নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে। তোমরা ভোটার হলেও ফ্যাসিবাদ চক্র ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে হারানো ভোটের পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিরাট সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই সুযোগগে কাজে লাগিয়ে সবার সমর্থন চাই। তারুণ্যের প্রথম ভোট, ধানের শীষের জন্য হোক।’ এ সময় সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীরাও তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেন, ‘তারুণ্যের প্রথম ভোট, ধানের শীষের জন্য হোক।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আজকের প্রতিজ্ঞা হোক তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষের জন্য হোক।
তরুণের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, শহীদদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার জন্য যা যা প্রয়োজন এবং নিজেদেকে যোগ্য করার জন্য তোমরা (তরুণ) সকলে তা গ্রহণ করবে, এই হোক আজকের প্রতিজ্ঞা। এ সময় দেড় দশকের ফ্যাসিবাদবিরোধী আনন্দোলনে বিএনপি হাজার হাজার নেতাকর্মী হতাহত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বাংলাদেশের মধ্যে বর্তমানে বিভক্তি সৃষ্টির নানা চেষ্টা হচ্ছে। যে কারণে ফ্যাসিবাদবিরোধী পক্ষগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান। মহাসচিব বলেন, “আমাদের পাশের দেশে ভারতে ফ্যাসিস্ট হাসিনা আশ্রয় নিয়েছে। সেখান থেকে হুমকি দিচ্ছে, তারা বাংলাদেশে আক্রমণ করবে। শুধু তাই নয় এখানে বিভিন্নভাবে গোলযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করছে”।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজকের এই সমাবেশ থেকে আমাদের শপথ নিতে হবে, আমরা আর কোনদিনই ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে এই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ দেবো না। শপথ নিতে হবে কারো কাছে কোনদিন মাথা নত করবো না। আমরা নিজেরাই নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হিসেবে গড়ে তুলবো।
ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘ছাত্রদলকে রুখে দেওয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশে কারও নেই। দেশকে যারা অস্থিতিশীল করতে চায়, ছাত্রদল চাইলে সেই ষড়যন্ত্রকারীদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে পারে। ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমান যদি নির্দেশনা দেন, নেতা–কর্মীরা সারা দেশ অবরোধ করে দিতে পারে।’
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।