১১ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:৪১

বাবার ইমামতিতে নুসরাতের জানাজা, দাফন সম্পন্ন

বাবার ইমামতিতে নুসরাতের নামাজের জানাজা।  © টিডিসি ফটো

ফেনীর সোনাগাজীর মাদারাসছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জানাজার নামাজে অংশ নিতে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে। তার জানাজায় স্থানীয় ও বিভিন্ন জেলার হাজারো মানুষ অংশ নেন। বৃহস্পতিবার মো. ছাবের সরকারি পাইলট হাইস্কুল মাঠে সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে তার নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজের ইমামতি করেছেন নুসরাতে বাবা মাওলানা এ কেএম মুসা।

নামাযে জানাযা শেষে পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডের ভূঁইয়া বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাদির পাশে দাফন করা হয় নুসরাতকে।

এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে মৃত্যুর সঙ্গে পাঁচ দিন লড়াই করে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যায় নুসরাত।

উল্লেখ্য, শনিবার সকালে ফেনীর পৌর শহরের সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে গেলে নুসরাতকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়।

পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ, সকালে পরীক্ষা দিতে গেলে কেন্দ্রে প্রবেশের আগে নুসরাতকে কয়েকজন ‘মুখোশ পরা’ মেয়ে ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে যায়। তারা নুসরাতকে জানায় যে, তার এক বান্ধবীকে ছাদে পেটানো হচ্ছে। নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন, নুসরাত কয়েকদিন আগে তার মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা করেছিল। সেই ঘটনার জেরে ওই অধ্যক্ষের পক্ষের শিক্ষার্থীরা তার বোনকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে।

চিকিৎসকের সামনে পুলিশের জবানবন্দিতে নুসরাতও জানিয়েছেন যে, পরীক্ষার কেন্দ্রের বাইরে তাকে কয়েকটি মুখোশ পরা মেয়ে ডেকে নিয়ে যায় এবং অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলাটি তুলে নিতে বলে। নুসরাত তাতে অস্বীকৃতি জানানোয় তারা তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

পরিবারের অভিযোগ, ওই মেয়েরাই নুসরাতকে মিথ্যা বলে, পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। গত ২৭ মার্চ ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা তার বোনকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছে এমন অভিযোগে পুলিশের কাছে মামলা করে নুসরাতের পরিবার।