বিজেন্সের প্রচারণাকে এডিট করে ফেসবুকে বিভ্রান্তি
নারীদের ভোগান্তির বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ক্যাম্পেইন শুরু করে অনলাইন শপিং প্লাটফর্ম ‘BJNS- বিজেন্স’। রাজধানীসহ সারাদেশে জনপরিসরে চলাচলে নারীর নিরাপত্তা নিয়ে দিন দিন উদ্বেগ বাড়ছে। এসব ভয়াবহতা রোধকল্পে বিজেন্স নামে সামাজিক সংগঠনের প্রচারণা চলছিল। এদিকে তাদের প্রচারণাকে এডিট করে সমাজিক যোগাযোগে মাধ্যম ফেসবুকে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি মহল।
বিজেন্স একটি অনলাইন ভিত্তিক শপিং প্লাটফর্ম। মূলত সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচারণা ছিল তাদের। টিশার্টের গায়ে সামাজিক নিরাপত্তামূলক বিভিন্ন বাক্য ব্যবহার করে তারা প্রচারণা শুরু করে। সম্প্রতি ফেসবুকে ওইসব লেখা সম্বলিত টি-শার্টের ছবি ভাইরাল হয়।
জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল রাত ১২টা ৪৮ মিনিটে ‘BJNS–বিজেন্স’ এর ফেসবুক পাতায় ‘গা ঘেঁষে দাঁড়াবেন না’ স্লোগান লেখা টি-শার্ট গায়ে নারীদের জনপরিসরে বিচরণের ১২টি ছবি আপলোড করা হয়। ফেসবুক পোস্টে বলা হয়,
“বাসে, রাস্তায় নিজের সাথে অথবা মেয়েদের সাথে হওয়া অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রতিবাদ, ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলাম ‘গা ঘেঁষে দাঁড়াবেন না’ লেখনি দিয়ে খোঁপার কাঁটায়। এবার এলো তা টি-শার্ট এ।
এই টি-শার্ট পরলেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা গুলো বন্ধ হয়ে যাবেনা। আমাদের সোচ্চার আওয়াজ -ই পারে এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো নির্মূল করতে।
বিজেন্সের নতুন সংযোজন টি-শার্ট।
বিঃ দ্রঃ অনুমতি ছাড়া এই লেখনি, ছবি কোথাও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবেন না দয়া করে।”
পেজে আপলোড করা ছবিগুলো থেকে কয়েকটিকে এডিট করে ‘গা ঘেঁষে দাঁড়াবেন না’ এর স্থলে অশ্লীল কিছু বাক্য যুক্ত করে বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করা হয়। এবং মূল ছবিগুলোর মতো ভুয়া ছবিগুলো এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। অনেকে এসবে বিভ্রান্ত হয়ে সেই অশ্লীল বাক্যযুক্ত ছবিগুলোকে সত্য বলে ধরে নিয়েছেন এবং এমন কার্যকলাপের সমালোচনা করছেন।
অবশ্য কেউ কেউ সামাজিক মাধ্যমেই জানাচ্ছেন, মূল স্লোগান ও ছবিগুলোতেই তাদের আপত্তি রয়েছে। অর্থাৎ, বাস বা রাস্তাঘাটে নারীর ‘গা ঘেঁষে দাঁড়াবেন না’- এমন বাক্যেই তাদের আপত্তি।
এদিকে ‘বিজেন্স’র মালিকপক্ষ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস’কে জানান, জনসচেতনার জন্য টি-শার্টে কিছু স্লোগান লিখি। সমাজের সবার দৃষ্টিকোণ একরকম নয়। ‘গা ঘেঁষে দাঁড়াবেন না’ বাক্যটি এডিট করে অশ্লীল বাক্য ছড়ানো হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক। আবার অনেকে মূল স্লোগান নিয়েও কথা বলছেন। পাবলিক প্লেসে নানা রকম মানুষ চলাফেরা করে। বাসে কিছু খারাপ স্বভাবের মানুষ ভিড়ের সুযোগ কাজে লাগিয়ে নারীদের যৌন হেনস্থা করে। সবাই এর প্রতিবাদ করতে পারে না। তাই সবার মাঝে সচেতন সৃষ্টির লক্ষ্যে এমন উদ্যোগ নেয়া।