তালিকাভূক্ত ২০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বাদ!

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, ২০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, সারা দেশে এখন এক লাখ ৮২ হাজার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন। যাদের নামে কোনো আপত্তি নেই, তাদের চূড়ান্ত তালিকা স্বাধীনতা দিবসের আগেই প্রকাশের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল হক বলেন, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। তবে মুক্তিযুদ্ধের দাবির প্রেক্ষিতে যে সমস্ত তালিকার বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি নেই, যেমন ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তিবার্তা, মুজিবনগর সরকারের যারা কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিলেন, যারা বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনীতে থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন তাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিক্রমে মার্চ মাসের মধ্যে প্রকাশ করার চেষ্টা করা হবে।

তিনি বলেন, যাদের নামে আপত্তি এসেছে, তাদের ব্যাপারে যাচাই-বাছাই চলছে। তবে কিছু সংখ্যক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার কারণে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা সন্মানজনক আইডি কার্ড এখন পায়নি। আগামী ২৬ মার্চের আগেই মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

এসময় আরেক সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, শহীদ ও অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষণের জন্য একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। এর আওতায় প্রথম পর্যায়ে ২০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার কবর সংরক্ষণ করা হবে। পরে দেশের সব মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।