০৮ মার্চ ২০২৫, ১৬:৩৯

যে ৫ কারণে রোজা ভঙ্গ হয় না

প্রতীকী ছবি

সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের জন্য রোজা পালন করা ফরজ। রোজার প্রতিদান মহান আল্লাহ স্বয়ং দেবেন। আর রোজা পালনের ক্ষেত্রে রয়েছে নির্দিষ্ট নীতিমালা। এ নীতিমালার আলোকেই রোজা পালন করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে রোজা হবে না।

কিছু কাজ আছে, যার দ্বারা রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। অনেকে এগুলোকে রোজা ভঙ্গের কারণ মনে করেন। ফলে এমন কোনো কাজ হয়ে গেলে রোজা ভেঙে গেছে মনে করে ইচ্ছাকৃত পানাহার করে ফেলে। এসব বিষয় প্রত্যেক রোজাদার মুসিলমানের জানা জরুরি।

১. কোনো রোজাদার রোজার কথা ভুলে গিয়ে পানাহার করলে তার রোজা নষ্ট হবে না। তবে রোজা পালনরত আছি, এ কথা স্মরণ হওয়ামাত্রই পানাহার ছেড়ে দিতে হবে।

হাদিস শরিফে এসেছে, যে ব্যক্তি ভুলে আহার করল বা পান করল, সে যেন তার রোজা পূর্ণ করে। কারণ আল্লাহই তাকে পানাহার করিয়েছেন। (মুসলিম ১/২০২; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭১)

২. চোখে ওষুধ-সুরমা ইত্যাদি লাগালে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। হজরত আনাস (রা.) রোজা পালনরত অবস্থায় সুরমা ব্যবহার করতেন। (আবু দাউদ ১/৩২৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৩)

৩. রাতে স্ত্রী সহবাস করলে বা স্বপ্নদোষ হলে সুবহে সাদিকের আগে গোসল করতে না পারলেও রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। তবে কোনো ওজর-আপত্তি ছাড়া, বিশেষ করে রোজা পালনরত অবস্থায় দীর্ঘ সময় অপবিত্র থাকা অনুচিত।

উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, তিনি বলেন, ‘গোসল ফরজ অবস্থায় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সকাল হতো। অতঃপর তিনি গোসল করে রোজা পূর্ণ করতেন।’

৪. বীর্যপাত ঘটা বা সহবাসে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা না থাকলে স্ত্রীকে চুমু খাওয়া জায়েজ। তবে কামভাবের সঙ্গে চুমু খাওয়া যাবে না। আর তরুণদের যেহেতু এ আশঙ্কা থাকে, তাই তাদের বেঁচে থাকা উচিত।

আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) বলেন, ‘আমরা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে ছিলাম। এরই মধ্যে একজন যুবক এল এবং প্রশ্ন করল, “আল্লাহর রাসুল (সা.)! আমি কি রোজা অবস্থায় চুম্বন করতে পারি?” নবীজি (সা.) বললেন, “না।” এরপর এক বৃদ্ধ এসে একই প্রশ্ন করলেন। নবীজি (সা.) বললেন, “হ্যাঁ।” আমরা তখন অবাক হয়ে একে অপরের দিকে তাকাচ্ছিলাম। নবীজি (সা.) বললেন, “আমি জানি, তোমরা কেন একে অপরের দিকে তাকাচ্ছ। শোনো, বৃদ্ধ ব্যক্তি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।”’ (মুসনাদে আহমদ ২/১৮০, ২৫০)

৫. অনিচ্ছাকৃত বমি মুখ ভরে হলেও রোজা ভাঙবে না। তেমনি বমি মুখে এসে নিজে নিজে ভেতরে চলে গেলেও রোজা ভাঙবে না। হাদিস শরিফে আছে, অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো ব্যক্তির বমি হলে তার রোজা কাজা করতে হবে না। (তিরমিজি, হাদিস : ৭২০; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৪)