১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৩

অটোরিকশা চালকদের যান চলাচলে বাধা, রাজধানীতে তীব্র ভোগান্তি মানুষের

রাজধানীতে যানবাহন না পেয়ে অনেকে হেঁটে অফিসে যান  © টিডিসি ফটো

রাজধানীতে গ্যাস বা পেট্রোলচালিত অটোরিকশার চালকদের অঘোষিত ধর্মঘটে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। দু’দিনের সপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি শেষে আজ রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রথম কর্মদিবসে বেরিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন তারা। সকাল থেকে ধর্মঘটের সমর্থনে অটোরিকশাচালকরা বিভিন্ন স্থানে যানবাহন চলাচলে বাধা দিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। ফলে অনেক মানুষকে হেঁটে অফিসে যেতে দেখা যায়।

জানা গেছে, অটোরিকশায় মিটারের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করলে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিআরটিএ পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) শীতাংশু শেখর বিশ্বাসের সই করা এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পুলিশ কমিশনারকে এ পত্র দেওয়া হয়েছে। এর বিরোধীতা করে চালকরা অটোরিকশা চালানো বন্ধ রেখেছেন বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও অফিসগামী মানুষ জানিয়েছেন, সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সিগন্যালে দীর্ঘ সময় ধরে আটকে থাকছে যানবাহন। এতে অনেকে সময়মতো অফিসে পৌঁছাতে পারেননি। অনেকে যানবাহন না পেয়ে হেঁটে অফিসে যান।

গুলশান এলাকায় অফিসে যাওয়ার সময় বাড্ডায় জ্যামে পড়েছিলেন একজন বেসরকারি চাকরিজীবী। তিনি বলেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকরা ধর্মঘট ডেকেছেন। তারা বিভিন্ন স্থানে যানবাহন চলাচলে বাধা দিচ্ছেন। এতে তীব্র যানজটের পাশাপাশি অফিসে যেতে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।

আরো পড়ুন: ঢাকার যেসব মার্কেট ও দোকানপাট আজ বন্ধ

বিষয়টি নিয়ে চেষ্টা করেও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাদের মিটারে ভাড়া নেওয়া সংক্রান্ত পত্রে বলা হয়েছে, গ্যাস বা পেট্রোলচালিত ফোর-স্ট্রোক থ্রি-হুইলার অটোরিকশার জন্য নির্ধারিত মিটারের ভাড়ার হারের অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগের বিষয়ে মামলা রুজুর নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

আরও বলা হয়েছে, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ধারা ৩৫(৩) অনুযায়ী কন্ট্রাক্ট ক্যারিজের মালিক বা চালক রুট পারমিট এলাকায় যেকোনো গন্তব্যে যেতে বাধ্য থাকবেন। মিটারে প্রদর্শিত ভাড়ার অতিরিক্ত অর্থ দাবি বা নিতে পারবেন না। এর ব্যত্যয় ঘটলে ধারা ৮১ অনুযায়ী অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। চালকের ক্ষেত্রে দোষসূচক এক পয়েন্ট কর্তনের বিধান রয়েছে।