১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:২৪

প্রত্যাহারের পর দুদক পরিচালকে দপ্তর থেকেই বদলি

প্রত্যাহারের পর দুদক পরিচালকে দপ্তর থেকেই বদলি
  © সংগৃহীত

সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তদন্তকাজ থেকে দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানকে প্রত্যাহার করার পর দপ্তর থেকেই বদলি করা হয়েছে। তার স্থলে পরিচালক মোহাম্মদ মোরশেদ আলমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) প্রশাসন বিভাগের উপপরিচালক আজিজুল হক সই করা আদেশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে,  বীমা ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সরিয়ে তাকে এনআইএস এবং ইউএনসিএআই ফোকাল পয়েন্ট বিভাগের পরিচালক হিসেবে বদলি করা হয়েছে। 

এর আগে সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের লকার সংশ্লিষ্ট তদন্ত কাজের তদারক কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ডেপুটেশনে আসা ওই কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা ও লকার নিয়ে নিয়মিত লেখার কারণে কমিশন থেকে তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, তদারক কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন থেকে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখির কারণে তাকে কারণ দর্শানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এই পরিচালক বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি অনুসন্ধানের দায়িত্বে ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুসন্ধান সম্পর্কিত তথ্যাদি প্রকাশ করার কারণে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই কারণে তাকে কারণ দর্শানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের লকারে অভিযান চালানো দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া তার বিভিন্ন মন্তব্যের বিষয়ে আপত্তি জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায় এ ধরনের মন্তব্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসংক্রান্ত নীতিমালার পরিপন্থি। গত সপ্তাহে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে এই চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ের পরিচালক।

চিঠিতে বলা হয়েছে, কাজী সায়েমুজ্জামান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধারণাপ্রসূত বিভিন্ন মন্তব্য করে যাচ্ছেন। এ ধরনের মন্তব্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসংক্রান্ত নীতিমালার পরিপন্থি। চিঠির সঙ্গে কাজী সায়েমুজ্জামানের দেওয়া বিভিন্ন মন্তব্যও যুক্ত করে দেওয়া হয়।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযান চালায় দুদক। যদিও সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ ২৫ কর্মকর্তার নামে কোনো লকার খুঁজে পায়নি দুদক।