পুলিশের ওপর হামলা করে আ. লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিলেন নেতাকর্মীরা (ভিডিও)
- পাবনা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৪ PM , আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৩ PM

পাবনার সুজানগরে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নিয়েছেন তার সমর্থকেরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় হওয়া দুটি মামলার আসামি তিনি। এ ঘটনায় আট পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের মথুরাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আব্দুল ওহাব মথুরাপুর এলাকার মৃত জাহেদ আলী শেখের ছেলে। তিনি সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক পৌর মেয়র ও সদ্য বিলুপ্ত হওয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। পাবনা সদর থানা ও ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় তার নাম রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, বিকেলে মথুরাপুর স্কুলের মসজিদে আছরের নামাজ শেষে বের হলে তাকে গ্রেপ্তার করে সুজানগর থানার পুলিশ। পুলিশের গাড়িতে তোলার পরপরই কয়েকজন লোক গাড়িটি ঘিরে ধরে তাকে ছেড়ে দিতে বলেন। পুলিশ রাজি না হলে মুহূর্তেই কয়েকশ লোক জড়ো হয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে হামলা চালায় এবং গাড়ি ভাঙচুর করে তাকে জোর করে ছিনিয়ে নেয়। ধস্তাধস্তিতে আট পুলিশ সদস্য আহত হন।
সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব শেখ মো. আব্দুর রউফ বলেন, "এটা পুলিশের দুর্বলতার প্রকাশ। এত কমসংখ্যক পুলিশ সেখানে যাওয়া উচিত হয়নি। আরও শক্তিশালী অবস্থানে গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার ছিল। এ ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।"
সুজানগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মো. হেসাব উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশের গাফিলতির কারণেই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে ছাড়িয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। অথচ অতীতে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিনা কারণে লাঠিচার্জ ও গুলি চালানো হয়েছে। আজ পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিরোধই করা হয়নি। আওয়ামী লীগের একজন উপজেলা সভাপতি এখনো বাসায় বসে কর্মসূচির দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। অথচ পুলিশ আজ গিয়ে ধরতে পারল না। এটি প্রমাণ করে, পুলিশে এখনো হাসিনার লোকজন রয়ে গেছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল ওহাবের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আব্দুল ওহাবের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি, কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়েছে। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় আট পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।’