১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫০

সীমান্তে বাংলাদেশি নিহত, পতাকা বৈঠকে বিএসএফকে বিজিবির প্রতিবাদ

(বিজিবি) ও (বিএসএফ) এর ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক  © সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মাছিমপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে সাইদুল ইসলাম (২৩) বাংলাদেশি যুবক নিহত হন। এ ঘটনায় বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনী (বিজিবি) ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার লাউরগড় বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ১২০৩/৮-এস এর নিকটবর্তী সায়েদাবাদ-নালিকাটা বর্ডার হাট এলাকায় বৈঠক হয়। বৈঠকের বিষয়ে রাতে বিজিবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ঘণ্টাব্যাপী পতাকা বৈঠকে সিলেট সেক্টরের সুনামগঞ্জ-২৮ বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির। অপরদিকে শিংল সেক্টরের ১৯৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কমান্ড্যান্ট শ্রী রাজিব কুমার। এছাড়া বৈঠকে বিজিবির পক্ষে ১২ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল এবং বিএসএফের পক্ষে ১২ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিল।

আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত

বৈঠকে বাংলাদেশি যুবক সাইদুল ইসলামকে ভারতের ভেতরে গুলি করার বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। একই সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান ২৮ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির।

উত্তরে বিএসএফ কমান্ড্যান্ট জানান, ১৯৩ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ করাইগড়া ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকের ওপর ফায়ারের বিষয়ে বিএসএফ এবং পুলিশের সমন্বয়ে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে ফায়ারের সম্পৃক্ততার বিষয়টি জানানো হবে।

প্রসঙ্গত, বুধবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার গামাইতলা গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে সাইদুল ইসলাম সুপারি নিয়ে মাছিমপুর সীমান্তে দিয়ে ভারতে যাচ্ছিলেন। এ সময় ভারতের মধ্য থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। পরে সেখানে থাকা সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়ন বিজিবির সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে। পরে স্থানীয়রা তাকে প্রথমে বিশ্বম্ভরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।