সাইনবোর্ডে আ.লীগ নিয়ে লেখা ভেসে উঠতেই হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর
‘আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে; জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’—এমন লেখা ভেসে ওঠে নোয়াখালীর মাইজদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে। এর জেরে ওই হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে শহরের হাসপাতাল সড়কের ‘সিটি হসপিটাল’-এ ওই হামলা হয়।
হাসপাতালে এই হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা সবাই বিএনপির সহযোগী অঙ্গসংগঠন যুবদল ও ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে।
হাসপাতালের কর্মচারীরা জানান, হামলার ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প থেকে একটি দল এবং সুধারাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেনাসদস্যরা এ সময় ঘটনাস্থল থেকে মো. বাবলু (৩৫) নামের একজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। তাকে আজ বুধবার আদালতে পাঠানো হবে।
সিটি হসপিটালের ম্যানেজার কাজী মো. শাহজাহান নাজিম বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে প্রথম হাসপাতালে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু,আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ লেখা ভেসে উঠে। তখন আমাদের নৈশপ্রহরী সেটা ডিসকানেক্ট করে দেয়। পরে এটা নিয়ে আর কোনো কথাবার্তা হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে স্থানীয় কিছু লোকজন এসে আবার ডিসপ্লেতে কানেকশন দেয়, এরপর লেখাটি পুনরায় ভেসে ওঠে। ডিসপ্লে হাসপাতালের কোনো অ্যাপে, তারে বা মোবাইলে নিয়ন্ত্রণ নেই। এটি হাসপাতালের বাইরে থাকা একটি পেনড্রাইভের মাধ্যমে চলে।
ম্যানেজার নাজিম অভিযোগ করে বলেন, গতকাল রাতে ডিসপ্লেতে লেখা ভেসে ওঠেনি। এটি ঘটানো হয়েছে। এরপর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেটকারসহ হাসপাতালে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয় এবং নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এতে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক সালমা ইসলামের সঙ্গে স্থানীয় এক ব্যক্তির পূর্ববিরোধ ছিল। ধারণা করছি ওই বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুম ইফতেখার বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।