‘জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সমাবেশে হামলার নেপথ্যে সারজিস’
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নাগরিক সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় গণঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি ফারুক হাসানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আহ্বায়ক খোমেনী ইহসান।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে তিনি এমন অভিযোগ করেন।
পাঠকদের জন্য খোমেনী ইহসানের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হল-
‘জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সমাবেশে হামলার নেপথ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির সারজিস আলম জড়িত। হামলাকারীরা এক সময় যুবদল করলেও বর্তমানে সারজিসের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সারজিস আমাদের নাগরিক সমাবেশ বানচালে জড়িত থাকার অডিও ক্লিপস আমি এক ছাত্র উপদেষ্টার কাছে পাঠিয়েছি।
সারজিস কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে জড়িত ছিল এবং আন্দোলনকে থামিয়ে দিতে বারবার ষড়যন্ত্র করেও আমাদের হস্তক্ষেপে ব্যর্থ হয়েছিল। সারজিস ৫ আগস্টের পর বিপ্লবী সাজলেও আমরা তার বিরোধিতা অব্যাহত রাখি। সে সচিবালয়সহ বহু জায়গায় নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত ছিল। এনিয়ে আমরা সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সরকারের কাছে আপত্তি জানাই। পরবর্তীতে ছাত্রদের একজনের কারণে তার বিষয়ে ছাড় দেই।
সারজিস হয়তো ভাবছে তার নরমালাইজেশন হয়ে যাওয়ায় সে জবাবদিহিতার উর্ধ্বে উঠে গেছে। না ভাই এমনটি মনে করো না। আমরা সমর্থন প্রত্যাহার করলে তোমরা কয়দিন টিকতে পারবে তা গুণে দেখ। আমরা ছাত্রদের ব্যর্থ দেখতে চাই না বলে তোমাদের সঙ্গে বিরোধিতায় যেতে চাই না। কিন্তু এর মানে এও নয় যে দলগত ছাড় সবার কপালে জুটবে।
তুমি সাবেক ছাত্রলীগ, তুমি এত শক্তিশালী হলে শিবিরের প্রশংসায় গদগদ হতে না, কিন্তু তুমি ছাত্রলীগের দুর্বলতা ঢাকতেই গদগদ করো, কিন্তু তুমি হয়তো জানো না শিবিরকে ম্যানেজ করলেও কারো কারো কাছে শক্তিশালী হওয়া যায় না।
জুলাই বিপ্লবের নেপথ্যের শক্তি কাউকে না চিন সমস্যা নাই। আমাদের সঙ্গে মৈত্রী রাখারও দরকার নাই। কিন্তু কোন সাহসে শহীদ পরিবারদেরকে আমাদের কর্মসূচিতে আসতে বাধা দিয়েছ? কেন আবার হামলা করতে অস্ত্রসহ লোক পাঠিয়েছ। পিস্তল নিয়ে আসলো, ছুরি আনলো কেন? এ কাজ কি লিগ্যাল? কোথায় পেয়েছ এই সন্ত্রাসের এখতিয়ার? আমরা তোমাকে জবাবদিহি ও বিচারের মুখোমুখি করব ইনশাআল্লাহ।’