২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৭

বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের ফাঁকা গুলি, জবাব চাইল বিজিবি

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)  © সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী সীমান্তে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর মধ্যে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলা এই সাক্ষাতে দুই দেশের ব্যাটালিয়ন পর্যায়ের কমান্ডাররা সীমান্তে সংঘাত নিরসন এবং চোরাচালান রোধসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন।  

বিজিবি ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ রহমানের নেতৃত্বে বিজিবি এবং বিএসএফ ১৪৬ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট বিক্রম দেব সিং-এর নেতৃত্বে বিএসএফ দল এই আলোচনায় অংশ নেয়।

এ সময় উপজেলার চিলমারীর ইউনিয়নের চিলমারী বিওপির ওপারে ভারতের চরভদ্রা বিএসএস কর্তৃক গত ১৮ ডিসেম্বর সীমান্তে গুলি ছোড়ার কারণ জানতে ও ঘটনার সঠিক ব্যাখ্যা নিতে এই সাক্ষাতের আয়োজন বলে জানানো হয় বিজিবির পক্ষ থেকে।  

ওই সৌজন্য সাক্ষাতে বিজিবি'র পক্ষে নেতৃত্ব দেন কুষ্টিয়া ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোঃ মাহবুব মুর্শেদ রহমান, এবং বিএসএফ এর পক্ষে নেতৃত্ব  দিয়েছেন ভারতের রওশনবাগ   ১৪৬ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট বিক্রম দেব সিং।

বিজিবির দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সীমান্তে গুলির বিষয়ে ১৪৬ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের কমান্ড্যান্ট জানিয়েছেন, কাউকে উদ্দেশ্য করে নয় শুধু চোরাকারবারীদের ভয়-ভীতি দেখানোর জন্য ফাঁকা গুলি করা হয়েছে। এসময় বাংলাদেশি জনসাধারণের ওপর কোনো অবস্থাতেই প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বা গুলি না করার বিষয়ে ৪৭ বিজিবির অধিনায়ক বিএসএফ কমান্ড্যান্টকে অনুরোধ জানালে বিএসএফ কমান্ড্যান্ট এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে উভয় দেশে বিদ্যমান চোরাকারবারি দের বিরুদ্ধে যৌথ পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন। 

এসময় চিলমারী সীমান্তের বিপরীতে ভারতের ২০০ গজ অভ্যন্তরে পরিখা খননের কারণ জানতে চাইলে বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অবৈধভাবে গরু-মহিষের চোরাচালান রোধের কারণে এই পরিখা খনন করা হয়েছে। পরে সীমান্তে অতিরিক্ত বিএসএফ মোতায়েনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসএফের পক্ষ থেকে বলা হয় অবৈধ চোরাচালান রোধে জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

আলোচনার শেষ পর্যায়ে উভয় বাহিনী সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরস্পরের প্রতি সহযোগিতার অঙ্গীকার করেন। এই সাক্ষাতের মাধ্যমে দুই দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি উন্নয়নের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।