২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০৯

সেনাবাহিনী কতদিন থাকবে—জানাল সেনাসদর

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান  © সংগৃহীত

সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেছেন, সেনাবাহিনী মোতায়েন হয়েছে সরকারের সিদ্ধান্তে। সরকারের সিদ্ধান্তেই প্রত্যাহার করা হবে। কতদিন থাকা দরকার সেটার বিচার সরকার করবে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা দিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এর আগে গত ১৩ ও ২৮ নভেম্বর দুই দফা সংবাদ সম্মেলন করেছে সেনাসদর।

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাওয়া হলে কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, পরিসংখ্যানগতভাবে অবনতি হয়নি। তবে অনেক ঘটনা ঘটছে। যা আমাদের নজরদারিতেও আছে। পুলিশ কাজ করছে। আমরাও কাজ করছি। এলাকাভেদে আমাদের সমন্বয় সেল আছে। যেখানে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিতভাবে সমন্বয় করে। সেনাসদর পর্যায়ে এবং উপদেষ্টামণ্ডলী পর্যায়ে এই সমন্বয় হয়।

সেনাবাহিনী দুই ধরনের অপারেশন চালাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, যেসব হুমকি উঠে আসে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী কী হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয় এবং কার্যক্রম গ্রহণ হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ কাজ করছে। সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ক্যাম্পে যারা আছেন তারাও কাজ করছে। সাধারণত দুই ধরনের অপারেশন করা হয়। কিছু টার্গেটেড, যেখানে আমরা তথ্য পাই। সেসব তথ্য নিয়ে কিছু অ্যারেস্ট করা হয়েছে। এর বাইরে অনেক সময় ঘটনার রিপোর্ট আমরা পাই, সেখানেও তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এ ধরনের অপারেশনে ঢাকা থেকে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে পারবো কি না, তা আমরা বলি না। কিন্তু একটা সহনশীল পর্যায়ে রাখতে আমাদের প্রচেষ্টা রয়েছে।

আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী কোনো চাপ অনুভব করছে কি না? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজটা সহজ না। বিভিন্ন ধরনের হুমকি আছে। রুটিন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাপ নেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষিত করা হয়। সেই ধরনের চাপ আমাদের নেই। তবে হ্যাঁ, অনেক ধরনের আনসার্টেনিটি আছে। বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতি বিভিন্ন সময় ডেভেলপ হচ্ছে। আমরা সেগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে মিলে কাজ করে যাচ্ছি। যাতে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহনশীল পর্যায়ে থাকে।

মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ সীমান্তে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে কি না?  এমন প্রশ্নে সেনা কর্মকর্তা বলেন, দেশের সার্বভৌমত্বে নিরাপত্তার ঝুঁকি এই মুহূর্তে ওইরকম দেখছি না। কক্সবাজার এলাকায় যারা নিয়োজিত আছে, তারা সবসময় তৎপর আছে। আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, বিজিবিসহ অন্যরা কাজ করছে। সবার সঙ্গে সমন্বয় আছে। যদি কোনো ধরনের ঝুঁকি ডেভেলপ করে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা সদা প্রস্তুত আছি।