সচিবালয়ে ঢুকতে শুরু করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
সচিবালয়ে আগুন লাগার ঘটনায় সকাল ৯টার আগে থেকেই বিভিন্ন গেটের সামনে অবস্থান নেন এক হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী৷ তবে নিরাপত্তার বিষয় সামনে রেখে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পরে সকাল ১০টার কিছুক্ষণ আগে থেকে সচিবালয়ের ৫ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সকাল থেকে সচিবালয়ে প্রেসক্লাবের সামনে ও আশপাশের এলাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়ো হতে দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সচিবালয়ে মেট্রোরেল স্টেশন থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ ভবন, ওসমানী উদ্যান এবং খাদ্য ভবনের সামনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভেতরে প্রবেশের অপেক্ষা করেন। পরে ৫ নম্বর গেট খুলে দিলে বাইরে অপেক্ষমাণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকতে থাকেন। তবে আগে নারী কর্মকর্তাদের সারিবদ্ধভাবে ঢুকতে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ জানান, আগুন লাগা ভবনটির সব কার্যক্রম আপাতত বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিকল্প গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে।
এ অবস্থায় সচিবালয়ে আজ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘একটি ভবনে আগুন লেগে। এজন্য পুরো সচিবালয়ে ছুটি ঘোষণার প্রয়োজন নেই। যে ভবনটিতে আগুন লেগেছে। শুধু সেই ভবনের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ আরও বলেন, আমরা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সচিবালয়ের ৫ নম্বর গেট ব্যবহার করে ভেতরে প্রবেশের বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। তারা বিকল্প পথ ব্যবহার করে ভেতরে প্রবেশ করছেন।
এর আগে রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। প্রথমে সচিবালয়ে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটটি রাত ১টা ৫৪ মিনিট থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে। এরপর তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে ১৯ ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।