২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৪৩

সালমান-আনিস-জিয়াকে অব্যাহতির চেষ্টা, নেপথ্যে সেই এডিসির নাম

সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, জিয়াউল আহসান ও এডিসি সানজিদা  © ফাইল ছবি

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হত্যার দুটি মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছিল। অব্যাহতি দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকেও। আর এসব কিছুর পেছনে কলকাঠি নেড়েছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা বলে বলে অভিযোগ উঠেছে।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বারডেম হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে শাহবাগ থানায় আটকে ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধঘোষিত) দুই কেন্দ্রীয় নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নেতাকে ব্যাপক মারধরের ঘটনায় আলোচনায় এসেছিলেন এডিসি সানজিদা। 

ডিএমপি ও ডিবি সূত্র জানায়, মামলা থেকে আনিসুল ও সালমানকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া চেষ্টার ঘটনায় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী এডিসি সানজিদার কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন। সানজিদা ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সেই ব্যাখ্যা ডিএমপির কাছে সন্তোষজনক মনে হয়নি।

জানা গেছে, মামলা দুটির তদন্ত করছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) রমনার পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আরিফ। তিনি গত ২৩ অক্টোবর দুই মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার চেষ্টা করেন। নথিতে দেখা যায়, চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নিজেকে তিনি নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক পরিচয় দিয়েছেন। যদিও তিনি কর্মরত ডিবিতে।

দুটি হত্যা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া এবং আনিসুল ও সালমানকে অব্যাহতির বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে অসুস্থতা দেখিয়ে ছুটিতে রয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আরিফ। বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য জানতে তাঁকে একাধিকবার ফোন করা হয়েছিল। তবে সাড়া পাওয়া যায়নি। ডিবি সূত্র বলছে, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জাহাঙ্গীর আরিফ দাবি করেছেন, তিনি অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিনের (এখন এপিবিএনে কর্মরত) নির্দেশে কাজটি করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে এডিসি সানজিদা বলেন, তিনি এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। এ রকম আলোচিত মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার সিদ্ধান্তের এখতিয়ার তাঁর নেই।

সূত্র: প্রথম আলো