২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৯

গ্রিন লাইফ হাসপাতালে ‘ভুল চিকিৎসা’য় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ

গ্রিন লাইফ হাসপাতাল  © সংগৃহীত

রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রোগীর ওপেন হার্ট সার্জারির শেষে চিকিৎসক সফল বললেও কিছুক্ষণ পর স্বজনদের কাছে বলা হয়েছে রোগী মারা গেছেন। চ্যানেল টোয়েন্টিফোর অনলাইনে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

রোগী মোশাররফ হোসেনের স্বজনদের অভিযোগ, তার অস্ত্রোপচারের সময় উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। সব করেছেন সহকারীরা। পরে মৃত্যু হলে বিষয়টি আড়াল করতে নানা গড়িমসি শুরু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে পুলিশ বলছে, মৃতের সন্তানরা অভিযোগ দিলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে বুকের ব্যথা নিয়ে ছেলে-মেয়ের সঙ্গে এসে রাজধানীর পান্থপথের গ্রিন লাইফ হাসপাতালে ভর্তি হন ৫৫ বছর বয়সী মোশাররফ হোসেন। তার ওপেন হার্ট সার্জারির শেষে চিকিৎসক সফল বললেও কিছুক্ষণ পর স্বজনদের কাছে বলা হয় মোশাররফ মারা গেছেন।

স্বজনদের দাবি, অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় মোশাররফের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে চলে নানা নাটকীয়তা। দেওয়া হয় হাতে লেখা বিল।

এ বিষয়ে মোশাররফের ছেলে মো. লিটু হোসেন বলেন, বাবাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গিয়ে ডাক্তারের সহকারী ও মেডিকেলের অন্য ব্যক্তিরা অপারেশনের কাজ করেছে। আমার তাদের বলেছি যে যেই ডাক্তারকে রোগী দেখাবো, সেই ডাক্তার কোথায়? অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার পরেও ডাক্তার আসেনি। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ডাক্তার আসছে, ততক্ষণে বাবার হার্ট খুলে ফেলা হয়েছে। আমার ছোট বোনকে ভেতরে নিয়ে দেখায় যে তারা কাজ করছে। কিন্তু ডাক্তার কোথায়, এই প্রশ্নে অপারেশন থিয়েটারে যারা ছিল, তারা বলেছেন ডাক্তার আসতেছে।

মোশাররফের মেয়ে ফারজানা হোসেন বলেন, চিকিৎসক ডা. এ কে এম মনজুরুল আলম আমার পড়ালেখার খরচ এবং পড়ালেখা শেষ গ্রিন লাইফ হাসপাতালে আমাকে জব দেবেন এমন প্রস্তাব দিয়েছেন। এর কিছুক্ষণ পর তার সহকারী জুয়েল অ্যাম্বুলেন্স খরচের জন্য ৫ হাজার টাকা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমার বাবাই তো মারা গেলেন। আমি এই টাকা দিয়ে কী করবো?

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বিষয়টি নিয়ে উচ্চ মহলে আলোচনা চলছে। ঘটনার পর সটকে পড়েন অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. এ কে এম মনজুরুল আলম।

গ্রিন লাইফ হাসপাতালের জেনারেল বিভাগের পরিচালক হাসান খালিদ বলেন, আমরা চেষ্টা করবো অভিযুক্ত চিকিৎসককে নিয়ে বিষয়টি জানাতে। অপারেশন থিয়েটারের ভেতরে কী হয়েছে, আমার পক্ষে বলা সম্ভব না এবং আমি ওখানে ছিলাম না।

এ বিষয়ে কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, মৃতের সন্তানরা যদি এ বিষয়ে অভিযোগ দেয়, তাহলে সেউ অনুযায়ী আমারা কাজ শুরু করবো।