বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, আহত অন্তত ৩০
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় মাহফিলের পোস্টারে নাম দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে ২০টি মোটরসাইকেল।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার সাঘাটা বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক আর থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে উপজেলাজুড়ে।
জানা যায়, আগামী ২৬ ডিসেম্বর উপজেলার সরদার পাড়া গ্রামে রাতে একটি এতিম খানার উন্নয়ন কল্পে তাফসিরুল কোরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। সেই মাহফিলের পোস্টারে বিএনপির কোনও নেতার নাম না দেওয়ার জন্য নিষেধ করেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সেলিম আহমেদ তুলিপ। কিন্তু তার কথা অমান্য করে বিএনপির নেতার নাম দেওয়া হয় পোস্টারে। এনিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর রাতে সরর্দার পাড়ার সমিল এলাকায় বিএনপির কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে ও এতিম খানার দ্বায়িত্বে থাকা জামায়াতের কর্মী আব্দুল আজিজের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেই ঘটনায় জের ধরে শনিবার দুপুরে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ মিছিল বের করেন।
এদিকে বিএনপির নেতাকর্মীরাও মিছিল বের করেন। উভয়পক্ষ মিছিল নিয়ে পল্টল এলাকায় এলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সাঘাটা উপজেলার বিএনপির সদস্য সচিব সেলিম আহমেদ তুলিপ, আ. রাজ্জাক, জাকিরুল ইসলাম, আনিছুর রহমান, বাবু মিয়া,সিরাজুল ইসলাম, আহসান হাবিব পিন্টু এবং জামায়াতের কর্মী সাবেক বিডিআর সদস্য আলমগীর হোসেন, জাহিদুল ইসলাস ,শফিকুল ইসলাম, সাজু মিয়া, রুহুল ইকবালসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। পরে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।
হামলার ঘটনাটি পরিকল্পিত দাবি করে জায়াতের সাঘাটা উপজেলা যুব বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বী বলেন, বিএনপির লোকজন জামায়াতের মিছিলে পেছন থেকে হামলা চালায়। তাদের অভিযোগ গতকাল রাতেও বিএনপির লোকজন জামায়াতের এক কর্মীকে মারধর করে। এই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন সাঘাটা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও ঘুড়িদহ ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ তুলিফ।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সেলিম আহমেদ তুলিফ বলেন, জামায়াতের নেতা-কর্মীই তাদের ওপর হামলা করে। পরে তারা অন্তত ২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলম বলেন, হামলার ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০ জন আহত ও ৭টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের তথ্য জানা গেছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।