২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:২০

পাঁচ বছরে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭ হাজার মানুষের মৃত্যু

সংলাপে অংশ নেয়া বক্তাদের ছবি  © সংগৃহীত

২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) এমন তথ্য জানায় রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) আয়োজিত রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে  সড়ক পরিবহণ খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কার বিষয়ক জাতীয় সংলাপে এসব তথ্য জানানো হয়।

ফাউন্ডেশনটি আরও জানায়, বর্তমানে গণপরিবহণ ৫৩ শতাংশ যাত্রী বহন করে, আর ব্যক্তিগত যানবাহন ১১ শতাংশ যাত্রী বহন করে। অথচ ব্যক্তিগত যানবাহন ৭০ শতাংশ সড়ক দখল করে চলে। ৩০ শতাংশের কম জায়গায় চলে গণপরিবহণ। এটি সাধারণ মানুষের প্রতি চরম বৈষম্য। সংলাপের শুরুতে সড়ক পরিবহণ খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় করণীয় বিষয়ে একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি আব্দুলাহ এম ফেরদৌস খান। 

সংলাপে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সংলাপে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদ সরকারের কথিত উন্নয়নকে চ্যালেঞ্জ করে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। ওই আন্দোলনের মাধ্যমে স্কুলকলেজের শিক্ষার্থীদের মাথায় নিরাপদ সড়কের বিষয়টি গেঁথে গিয়েছে।

সড়ক নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, পরিবহণ খাতে  শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। এর পাশাপাশি পরিবহণ খাতে রাজনৈতিক দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, যে-সব কাঠামোগত উন্নয়ন মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না, সেসব উন্নয়ন অর্থহীন। তাই, আমাদের মৌলিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রয়োজন।

সড়ক দুর্ঘটনাকে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সড়কে বিশৃঙ্খলার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত দুর্বলতা অনেকাংশে দায়ী। পরিবহণ খাতে বহুমুখী সমস্যার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক সদিচ্ছার কোনো বিকল্প নেই। এসময় সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতে উপদেষ্টা পরিবহণ খাতসংশ্লিষ্টদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি সৈয়দ জাহাঙ্গীর, রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান-সহ পরিবহণ খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য প্রদান করেন।