নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে যুবকদেরকে সাথে রেখে: ড. মির্যা গালিব
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে হবে অবশ্যই যুবকদেরকে সাথে রেখে। দেশের সকল পুরাতন দলেও যুবকদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড. মির্যা গালিব। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এস কথা বলেন তিনি।
সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট (সিজিডি) কর্তৃক আয়োজিত ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত: সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারটিতে কী-নোট স্পীচ প্রদান করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম ছাত্রনেতা এডভোকেট মুজিবুর রহমান। সেমিনারে প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড. মির্যা গালিব, বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবীদ ও মিডিয়া ব্যাক্তিত্ত্ব ড. ফয়জুল হক, জবান এর সম্পাদক রেজাউল করিম রনি, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, বিডকোয়া’র সভাপতি মোহাম্মদ আলী ভুইয়া।
এ সময় ড. ফয়জুল হক বলেন, ‘দেশের এই সময়ে ৫ আগস্টের আগের চেয়েও বেশী ঐক্য প্রয়োজন। যুবকদের বাদ দিয়ে কোন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।’ সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটির আহবায়ক সাঈদ আহমেদ সরকার।
এডভোকেট মুজিবুর রহমান বলেন, ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত হতে হবে জাতীয়তাবাদ ও ধর্মের ভিত্তিতে। আর এক্ষেত্রে দলীয় ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যুব সমাজের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর আভ্যন্তরীন সংস্কারকে প্রায়োরিটি দিতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে সিজিডি'র নির্বাহী পরিচালক সাইদুল ইসলাম বলেন, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত মানে শুধু নতুন একটি দল করা নয়। এর পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক কালচার ডেভেলপ করতে হবে এবং রাজনীতিতে আমুল পরিবর্তনের চিন্তা করতে হবে। শুধু দল গঠনকে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বললে কয়দিন পর হারিয়ে যেতে হবে। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে আগামী সংসদ নির্বাচনে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ যুবককে মনোনয়ন দিতে সকল রাজনৈতিক দলকে বাধ্য করতে হবে। পাশাপাশি সকল দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়েও যুবকদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে হবে।