সংবিধানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম ও সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিতে হবে: অধ্যাপক আবদুর রব
বাংলাদেশর সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী। তবে দু:দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশের সংবিধানে যথাযথভাবে ইসলাম ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রাধান্য নেই। এ বিষয়টি উল্লেখ করে বিশিষ্ট পরিবেশ বিজ্ঞানী, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রব বলেছেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সংবিধানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম ও সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিতে হবে’।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর ) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে 'বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার' বিষয়ক এক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড মুসলিম উম্মাহ এ সেমিনার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রব।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রব বলেন, সারা দুনিয়াতেই সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মীয় জনগোষ্ঠী একটি দেশ গঠন করে এবং তাদের স্বার্থের ভিত্তিতেই সে দেশের আইন ও সংবিধান রচিত হয়।
তিনি বলেন, একটি দেশের আইন ও সংবিধান যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর ধর্ম ও সংস্কৃতির অনুষঙ্গ না থাকে তবে সে দেশের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণে আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় স্বাধীন মুসলিম দেশের উপযোগী আইন ও সংবিধান আমাদেরকে তৈরি করতে হবে।
বিদ্যমান সংবিধানকে দলীয় মেনিফেস্টোতে পরিবর্তন করার জন্য পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারকে দোষারোপ করে ‘কারো দলীয় অ্যাজেন্ডা বা ভাষণ জাতীয় সংবিধানের অংশ হতে পারে না’ বলে মন্তব্য করেন সেমিনারের মুখ্য আলোচক ডা. ফরিদ উদ্দিন খান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে বক্তৃতা করেন ডুয়েটের সাবেক ডিন ড. আব্দুল মান্নান, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, ইতিহাস অন্বেষার সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলাম, মুসলিম উম্মাহ ট্রাস্ট এর সভাপতি মুফতি সাঈদ আবদুস সালাম।