বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা: আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পল্লবীতে হামলার ঘটনায় পুলিশ পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। এই ঘটনায় দুইটি হত্যা ও হামলার মামলার তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন পল্লবী থানার যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন (৩৫), যুবলীগ নেতা মো. সাজু (৩৪), আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক মো. সৈকত ইসলাম (১৯), এবং দুই কর্মী মো. বাচ্চু বেপারী (৬০) ও রাজু (৫২)।
থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ আবুল তালেব স্কুলের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় আকরাম খান রাব্বী নামের এক ব্যক্তি গুলিতে গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় আকরামের পিতা ফারুক খান ২৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য এবং প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে মামুন ও সাজুকে মিরপুর-১১ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই রাতে আদর্শ নগর এলাকা থেকে সৈকত, বাচ্চু ও রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে, গত ৪ আগস্ট মিরপুর-১০ পপুলার-২ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে আন্দোলনে অংশ নেওয়া আবিদের ওপরও হামলা হয়। দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে হামলায় আবিদের ডান চোখে গুলি লাগে। এ ঘটনায় আবিদের ভাই জিন্নাত সাঈদী ১২ নভেম্বর পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক মামলায় তাদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পল্লবী থানা পুলিশ।