জুলাই গণঅভ্যুত্থান ভুলে যেতে বসেছে অধিকাংশ মানুষ : সারজিস
বাংলাদেশের ইতিহাসে অনন্য এক অধ্যায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান। ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের ফলে ঐতিহাসিক ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনার সরকারের। তবে এই আন্দোলনের অন্যতম সেনানী সারজিস আলম বলেন, ‘দেশের অধিকাংশ মানুষ জুলাই অভ্যুত্থান এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত ঘটনাগুলি ভুলে যেতে বসেছেন। যার ফলে খুনিদের নামে এখনও মিছিল ও স্লোগান হয়।’
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আয়োজিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফোরামের এক অনুষ্ঠানে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, আমরা প্রতি সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন বিভাগে যাই। শহীদ পরিবারগুলোর সঙ্গে আমাদের দেখা হয়, কথা হয়। প্রায় চার-সাড়ে চার মাস পরও যখন কোনো শহিদের বাবা, গর্বিত মা আমাদের তার সন্তানের রক্তাক্ত লাশের ছবি দেখান, বিদ্ধ হওয়া বুলেটটি দেখান, তখন আমরা ১৮, ১৯, ২০ জুলাইয়ে ফিরে যাই। ৩, ৪, ৫ আগস্টে ফিরে যাই। কিন্তু সবচেয়ে কষ্টের কথা হচ্ছে, আমরা বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ এখন জুন ৫ থেকে শুরু করে ৫ আগস্ট এই সময়টা ভুলে যেতে বসেছি।
তিনি আরও বলেন, ২৪ এর চেতনাকে কাজে লাগিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। অনেক ত্যাগের মাধ্যমে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেখানেও ব্যক্তি স্বার্থের জন্য অনেকে কাজ করছেন। এ পরিস্থিতি উত্তরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
শেখ হাসিনার সমালোচনা করে সারজিস বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবিচার করা হয়েছে। হাসিনা নিজের বাড়ি যাওয়ার পথে এক্সপ্রেসওয়ে করেছেন। কিন্তু উত্তরবঙ্গের রাস্তা হয়নি।
শহীদদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কাইয়ুম।
সভাপতির বক্তব্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফোরামের সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।