বাস ভাঙচুর ও চালককে মারধরের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে
বাস চালকের সঙ্গে তর্কের জের ধরে বাস ভাংচুর ও চালককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী বাস চালকের নাম নয়ন। তিনি ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে আসিয়ান এসি বাসের চালক। আহত অবস্থায় নয়নকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
গাড়ি চালক নয়ন বলেন, ‘আমি গুলিস্থান থেকে গাড়ি চালিয়ে আসছিলাম। সায়েদাবাদে জ্যাম থাকার সময় গাড়ির সামনে একটি মোটরসাইকেল এসে থামে। দ্রুত ব্রেক করায় গাড়ির যাত্রীদের ঝাকি লাগে। এসময় সেই নেতা বলে কিরে কেমনে গাড়ি চালাস? এ নিয়ে তর্ক হলে সে আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। গাড়ি সানারপাড় আসার পর ২৫/৩০ জন কর্মী এসে আমার গাড়ি ভাংচুর করে ও আমাকে বেধড়ক মারধর করে। আমার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে ও গ্লাস ভেঙ্গে আমার মাথা কেটে যায়। পরে তার কাছে মাফ চেয়ে আমি নিস্তার পাই। বিষয়টা মালিক পক্ষকে জানিয়েছি। তারা যেটা বলবে সেটাই করবো।’
এদিকে মিনহাজ আমান নামে বাসের এক যাত্রী অভিযোগ করেন, বাস ভাংচুর না করতে বলায় তাকেও লাঞ্চিত করে ইকবাল হোসেনের কর্মীরা। এছাড়াও তাকে চর থাপ্পড় মারা হয়েছে। অথচ তিনিও গাড়ি চালককে ধমক দিয়েছিলেন উচ্চ সুরে কথা বলার অপরাধে বলে জানান তিনি।
পরে মিনহাজ আমিন নামের ওই যাত্রী তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন, ‘আমি সুস্থ্য আছি। মারাত্মক আহত বা এমন কিছু না। আমাকে র্যান্ডম চড় থাপ্পড় দেয়া হয়েছে। আমি জানতে চেয়েছি কে আমাকে থাপ্পড় দিল, সেই নেতা বললেন, তার দুইটাকার কামলা কর্মীদের পরিচয় জেনে লাভ কি। তার পরিচয় তিনি তিনি বিএনপি নেতা।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ইকবাল বলেন, ‘গাড়ির ড্রাইভার বাজে আচরণ করেছে। ওরে ভালোভাবে গাড়ি চালাতে বলায় আমাকে বলে 'আপনে গাড়ি চালান'। আমি বলছি সাইনবোর্ড রাখ তোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। ও আমাকে বলে এমন ফাপড় অনেকেই দেয়। আর ও মাফ কখন চেয়েছে? আমার চিন্তা ছিলো কান ধরিয়ে দিয়ে ছেড়ে দিব। কিন্তু পাবলিক তো আর এটা বুঝে না।’