ইউরোপীয় ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে ঢাকায় আনার অনুরোধ প্রধান উপদেষ্টার

ইউরোপীয় ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে ঢাকায় বা কাছাকাছি অন্য কোনো দেশে স্থানান্তরের আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় তিনি বলেন, ভারতে ভিসা সীমাবদ্ধতার কারণে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ইউরোপের ভিসা পেতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এতে তাদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ সংকুচিত হচ্ছে। ঢাকায় ভিসা অফিস স্থানান্তর হলে উভয় পক্ষই উপকৃত হবে।
সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। আয়োজিত এই বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল শ্রম অধিকার, বাণিজ্য সুবিধা, মানবাধিকার, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই উন্নয়ন।
১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউর হেড অব ডেলিগেশন মাইকেল মিলার। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টার এই আলোচনায় প্রতিনিধি দলের ১৫ জন সদস্য মতামত তুলে ধরেন।
বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাস। এই সময়ে আপনাদের সঙ্গে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নিতে পেরে আমি আনন্দিত। তিনি দেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অবস্থা, দুর্নীতি, অর্থপাচার, এবং ব্যাংকিং খাতের সংকট নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অভিযোগ করেন, দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া সরকার দলীয় নেতারা পাচার করা অর্থ ব্যবহার করে দেশের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তিনি এই অপতথ্যের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, বুলগেরিয়া ইতোমধ্যে তাদের ভিসা সেন্টার ইন্দোনেশিয়া এবং ভিয়েতনামে স্থানান্তর করেছে। অন্য দেশগুলোকেও এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করার আহ্বান জানান তিনি।
এই সময় সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন ইইউ প্রতিনিধিরা। পরামর্শ ও সুপারিশ জানিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দেন তারা।