০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:২২

আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে দেশের চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারি

চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারির বিস্তারিত তুলে ধরা হয় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সংবাদ সম্মেলনে  © সংগৃহীত

দশ বছর পর শুরু হতে যাচ্ছে দেশের চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারি। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) পর্যন্ত  টানা পনেরো দিন চলবে শুমারির তথ্য সংগ্রহের কাজ। এই শুমারিতে এবারই প্রথম দেশের মধ্যে কর্মরত বিদেশি শ্রমিকদের সংখ্যা, তারা কোন প্রতিষ্ঠানে এবং কোন পদে কর্মরত আছেন, এমন তথ্য সংগ্রহ করা হবে। 

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) অর্থনৈতিক শুমারি-২০২৪ প্রকল্পের বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ডেপুটি প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়েছে  রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সম্মেলন কক্ষে।    

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, অর্থনৈতিক শুমারি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এস এম শাকিল আখতার, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. হামিদুল হক ও যুগ্ম সচিব ড. দীপঙ্কর রায়।

বিবিএসের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ও প্রবণতা সম্পর্কে সঠিক এবং আপডেটেড তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে, যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

প্রকল্প পরিচালক এস এম শাকিল আখতার বলেন, 'এবারের জরিপের নতুনত্ব হচ্ছে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া ডিজিটাল বিজনেস বা ই-কমার্স হিসেবে যে-সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে সেগুলোর তথ্য উঠে আসবে।'

তিনি আরও বলেন, 'এবার দেশের সব অর্থনৈতিক ইউনিট কভার করা হবে। ৭০টি প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে সামাজিক ও পরিবেশগত দিকগুলো উঠে আসবে, সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হবে, উৎপাদন প্রক্রিয়ায় আইসিটির কতটা সংযুক্তি হলো সেটা খতিয়ে দেখা হবে। প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়, মুনাফা দেখা হবে।'

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘শুমারির কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে শেষ করার জন্য জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) ও জিও কোড সমন্বয় করে ডিজিটাল ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহে ব্যবহৃত ট্যাবলেটগুলো মোবাইল ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট (এমডিএম) সফটওয়্যার ব্যবহার করে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।’

প্রসঙ্গত, দেশে প্রথম অর্থনৈতিক শুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছে  ১৯৮৬ সালে, দ্বিতীয় শুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছে  ২০০১ সালে।  সর্বশেষ তৃতীয় শুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৩ সালে।