টাকার ডিজাইনে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতির অনুমোদন
আসছে নতুন ডিজাইনের টাকা। থাকবে না শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। নতুন করে যুক্ত হবে ধর্মীয় স্থাপনা, বাঙালি ঐতিহ্যসহ ‘জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি’। নতুন ডিজাইনে পরিবর্তন হচ্ছে ২০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে বাজারে নতুন টাকা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪৩৮তম বোর্ড সভায় নকশা পরিবর্তনের বিষয়টি অনুমোদন পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা।
হুসনে আরা শিখা বলেন, বোর্ডে এবি ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকের জরিমানা মওকুফের বিষয় ওঠানো হয় কিন্তু অনুমোদন করা হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী ব্যাংকে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১০৯ ধারার ১১ উপ-ধারা অনুযায়ী জরিমানা আরোপের বিষয়টি অনুমোদন হয়েছে। সাধারণত ৩ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার বিধান রয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন ডিজাইনের টাকা আসছে, থাকবে ‘জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি’
মুখপাত্র জানান, বেসরকারি সীমান্ত ব্যাংক প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করেছিল। এটা ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দিয়েছে পর্ষদ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, নতুন টাকা ছাপাতে কাজ চলছে। বঙ্গবন্ধুর ছবিটি বাদ যেতে পারে। সবকিছু চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশের মুদ্রা ছাপানোর কাজটি করবে দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে আগামী ঈদুল আজহার আগে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতিযুক্ত নোট বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রতি বছরের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা মুদ্রণ বা উৎপাদন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রেখে দেওয়া হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী সেখান থেকে যখন নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বাজারে ছাড়া হয়। তার আগে টাকা প্রিন্ট করে রাখা হয়। বাজারে না ছাড়লে বাংলাদেশ ব্যাংকের মানি সার্কুলেশন প্রতিবেদনে যোগ করা হয় ভল্টের টাকা।