বিজয় দিবসে কুচকাওয়াজ নয়, হবে ‘বিজয় মেলা’
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে এ বছর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ এবং ডিসপ্লে অনুষ্ঠানের আয়োজন হচ্ছে না। এর পরিবর্তে এবার 'বিজয় মেলা' আয়োজন করা হচ্ছে, যা গ্রামীণ ঐতিহ্যকে নতুন করে তুলে ধরবে। এ মেলায় প্রাচীন বাংলার চারু ও কারুশিল্প এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শিত হবে।
মেলার পাশাপাশি, স্থানীয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর)মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইসরাত চৌধুরী বলেন, ‘এবার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সশস্ত্র বাহিনীর কুচকাওয়াজ হচ্ছে না। গত বছরও নির্বাচনের কারণে হয়নি। এ ছাড়া জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে হবে না। তবে এর বদলে হবে বিজয় মেলা। গ্রামীণ বাংলার বিভিন্ন ঐতিহ্য নিয়ে এই মেলা হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'এ জন্য অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। গত বছর এ খাতে বরাদ্দ ছিল তিন কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এ বছর বাড়িয়ে ৯ কোটি ২১ লাখ ২৫ হাজার টাকা করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।'
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, এ বছর বিশেষ পরিস্থিতির কারণে কিছু কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। তবে বিজয় দিবস উদযাপনে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রতিটি জেলা-উপজেলায় বিজয় মেলা করা যেতে পারে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছর মহান বিজয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রতিটি জেলার সদর উপজেলা ছাড়াও ৪৩২টি উপজেলায় ৭৫ হাজার টাকা করে মোট তিন কোটি ২৪ লাখ এবং প্রতিটি জেলায় এক লাখ করে ৬৪ লাখ টাকাসহ মোট তিন কোটি ৮৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন: শেখ হাসিনার ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্য’ প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন
এবার সে বরাদ্দ বাড়িয়ে তিন গুণ করা হয়েছে। এবারের বিজয় দিবসের ব্যয় নির্বাহের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা বাবদ ৭৫ হাজার টাকা এবং বিজয় মেলা আয়োজন বাবদ এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
সদর উপজেলা ছাড়া বাকি ৪৩৫টি উপজেলায় মোট সাত কোটি ৬১ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ ছাড় করেছে মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া প্রতিটি জেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা বাবদ এক লাখ টাকা এবং বিজয় মেলা আয়োজন বাবদ দেড় লাখ টাকা করে মোট এক কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ফলে এ বছর মহান বিজয় দিবসের ব্যয় বাবদ মোট ৯ কোটি ২১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ছাড় করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।