কোনো সভ্য দেশে হাইকমিশনে এ ধরনের হামলা হতে পারে না
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকাসহ অন্তত ১৫ জেলায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।
বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বক্তারা বলেন, এ ধরনের হামলা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। কোনো সভ্য দেশে কূটনৈতিক স্থাপনায় এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটতে পারে না। ভারত সরকারের ব্যর্থতার কারণে এ হামলা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে অশান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে একটি মহল।
দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, বিএনপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি ও সচেতন নাগরিক সমাজসহ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে এসব কর্মসূচি পালিত হয়।
মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) ঢাকায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে একটি মিছিল নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। তিনি বলেন, ভারত সরকারের ব্যর্থতার কারণে এ হামলা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।
একই দিনে চট্টগ্রাম নগরে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে দলীয় নেতারা বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। এ ছাড়াও জাতীয় নাগরিক কমিটি চট্টগ্রামে মানববন্ধন আয়োজন করে।
এছাড়াও রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, ফরিদপুর, কুমিল্লা, রাজবাড়ি, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, জয়পুরহাট, ফেনী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, কূটনৈতিক স্থাপনায় হামলা সভ্যতার লঙ্ঘন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে মশালমিছিল বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। বক্তারা বলেন, এ হামলা দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশে কূটনৈতিক স্থাপনায় হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।