নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানি শুরু
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানি আগামী মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত মূলতবি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে এ আদেশ দেন আদালত।
দলের নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করা হলেও শুধু আইনজীবী উপস্থিত না থাকার কারণ দেখিয়ে তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
গত ৫ আগস্টের পর নিবন্ধন ফিরে পেতে আইনি লড়াইয়ে নামে দলটি। আবেদন করা হয় খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার। যার শুনানি হয়। শুনানি শেষে জামায়াতের আবেদন মঞ্জুর করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের চার সদস্যের বেঞ্চ।
আজকের শুনানি শেষে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আদালত আগামী মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন। আদালতে জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিক ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলটি পুনরুজ্জীবিত (রেস্টর) করার আবেদন গত ২২ অক্টোবর মঞ্জুর করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ওই আদেশের ফলে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলটি আবার শুনানির সুযোগ তৈরি হয়।
এক রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরে হাইকোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াতে ইসলামী। তবে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় গত নভেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ বলে আপিল খারিজের আদেশ দেন। ফলে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল থাকে।
তবে ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ বলে খারিজ হওয়া আপিলটি আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আবার পুনরুজ্জীবিত করে শুনানির জন্য আবেদন করা হয়।
গত ২ সেপ্টেম্বর চেম্বার আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। সে অনুযায়ী ২২ অক্টোবর শুনানি শেষে আপিল বিভাগ আপিলটি পুনরুজ্জীবিত (রেস্টর) করার আবেদন মঞ্জুর করেন।