দেশীয় অস্ত্র হাতে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে বিএনপিপন্থি দুই শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে বাসস্ট্যান্ডের দখল নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর দিকে এই ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার দৃশ্য উঠে আসে। কিছু সময় পর অতিরিক্ত সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে উভয় পক্ষই এলাকা ছেড়ে চলে যায়। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ সমর্থিত শ্রমিক ইউনিয়ন বাসস্ট্যান্ড ছেড়ে চলে যায়। এরপর কয়েক দিন বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও, বিএনপির শ্রমিক দল সমর্থিত একটি পক্ষ বাসস্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং শ্রমিক ইউনিয়নের নতুন কমিটি গঠন করে। তবে কিছুদিন পর অন্য একটি পক্ষও একই কমিটি দাবি করে বাসস্ট্যান্ডের দখল নেওয়ার চেষ্টা শুরু করে, ফলে সেখানে উত্তেজনা তৈরি হয়। দুই পক্ষই নিজেদেরকে শ্রম অধিদপ্তর ও জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের অনুমোদিত কমিটি বলে দাবি করেছে।
সোমবার (০২ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই বাসস্ট্যান্ডে উত্তেজনা বিরাজ করছিল এবং পুলিশসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল। দুপুরে সেলিম ভুঁইয়ার নেতৃত্বে বিএনপির একটি পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্ট্যান্ডের দিকে এগিয়ে গেলে, সেখানে উপস্থিত সাইফুল ইসলাম ও শামীম খানের পক্ষও লাঠিসোঁটা নিয়ে বাধা সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি এবং ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এসময় পুলিশ সদস্যরা নিষ্ক্রিয় ছিলেন বলে অভিযোগ করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। কিছুক্ষণ পর সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুই পক্ষই এলাকা ছেড়ে চলে যায় এবং আশপাশে অবস্থান নেয়া লোকদেরও সরিয়ে দেয়।
দুই পক্ষের মধ্যে শামিম খান ও সাইফুল ইসলাম দাবি করেছেন, তারা শ্রম অধিদপ্তর এবং জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের অনুমোদিত কমিটি পরিচালনা করছেন, এবং সেলিম ভুঁইয়া গ্রুপের লোকজন বাসস্ট্যান্ড ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। অপর পক্ষের আবুল কাশেম ভুঁইয়া সেলিম জানান, তারা শ্রম অধিদপ্তর ও জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের অনুমোদন নিয়ে বাসস্ট্যান্ড দখলমুক্ত করেছেন এবং কোনো ভাঙচুর বা লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, আমরা দুই পক্ষকেই সরিয়ে দিয়েছি। বড় কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি।